পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বষ্টি సి(t এত বড় প্রকাও পদার্থ জগৎটা আসিল কোথা হইতে ? তবে কোন সময়ে, কিরূপে, কেন, ইহার স্বষ্টি হইয়াছে, তাহ বালবার উপায় নাই । সে সব অজ্ঞেয়। ঈশ্বরের ইচ্ছাময়ত্বটুকু বজায় রাখয়া ঈশ্বরকে নিরুপাধক বল ক্ষতি নাই, অজ্ঞেয় বল আরও ভাল । জগৎ একটা প্রকাও যন্ত্ৰ ; এই যন্ত্রের উদ্ভাবনে একজন যন্ত্রীর ইচ্ছ। আবগুক ; তাই ঈশ্বর-স্বীকার কৰ্ত্তব্য । এই যন্ত্র-চালনেও একজন যন্ত্রীর শক্তি অবিশুক । ঈশ্বরের ইচ্ছাছ সই শাক্ত । তোমরা যাহাকে প্রাকৃতিক নিয়ম বল, তাহা ঈশ্বরের ইচ্ছারই বিকাশমাত্র । যন্ত্রটি সুগঠিত, নিয়ামত ; বেশ মুস্ত ভাবে চলিতেছে ; ইহা যন্ত্রীর মাহাত্ম্য। তবে মাঝে মাঝে মরিচ। ধরিলে মেরমতের দরকার ছয় কি না, তাহ লইয়া মতভেদ থাকিতে পারে ; কেহ বলেন, মেরামত দরকার হয় ; সেই মেরামতের নাম মিরাকৃল। এই কথাগুলি শুনিতে বেশ ; মীমাংসক মধ্যস্থের উপযুক্ত বটে। কিন্তু দুষ্ট একটা এমন উদ্ধতস্বভাব লোক দেখা যায়, তাহারা মধ্যস্থের কথায় তৃপ্ত হয় না । তাহারা বলে, যন্ত্র আছে অতএব যন্ত্রী আবশ্বক, অ তএব ঈশ্বর স্বীকার্য্য ; এরূপ যুক্তি চলিবে না। ঘটের জন্ত কুম্ভকার আবশ্বক ; সুতরাং বিশ্বজগতের জন্ত বিশ্বকৰ্ম্মার প্রয়োজন, এ যুক্তিটা ঠিক নহে। প্রথম, কুস্তকার ঘট নিৰ্ম্মাণ করে, বুদ্ধি যোগাইয়। আকার দেয় মাত্র ; ঘটের উৎপাদন করে না। ঘটের উপাদান যে মাটি, তা পুৰ্ব্ব হইতেই বর্তমান থাকে। সেইরূপ তৈয়ারি মালমশলার উপর বুদ্ধ প্রয়োগ করিয়া ঈশ্বর জগৎ গড়িয়াছেন, এই পর্য্যস্ত এ যুক্তিতে আইসে ; সেই ব্ৰহ্মাণ্ড গড়িবার মশলা কোথা হইতে আসিল, এ কথার উত্তর পাওয়া যায় না। কিছু-না হইতে কিছুর উৎপত্তি, অভাব হইতে ভাবের উৎপত্তি, মানুষের জ্ঞানের বাহিরে, মানুষের কল্পনার অতীত । সুতরাং সিদ্ধান্ত কিছুষ্ট হয়, না । তবে বিশ্বাস কর, সে কথা স্বতন্ত্র ; যুক্তির কথা তুলিও না ।