সৃষ্টি >Q g প্রাকৃতিক নিয়মগুলি সমস্ত জানিলে কিরূপে জগৎ গঠিত হইয়াছে, কিরূপে চলিতেছে ও কিরূপে চলিবে, বৈজ্ঞানিক তাহ বলিবার ভরসা করেন । ইহাকে স্বষ্টিক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বণিতে পার । এই বৈজ্ঞানিক-ব্যাখ্যাকারগণের অন্ত তম অগ্রণী মহামতি ক্লার্ক মাক্সোয়েল একদ। বলিয়াছিলেন, প্রত্যেক মূল পদার্থের পরমাণুগুণি যেন একই ছাঁচে ঢাল ; সেই ছাঁচ তৈয়ার করিবার জন্ত, তাহার নক্স কারবার জন্ত, BBBBBB SBBB BBBBBS BBBB BBBB BBBBBB BBBBBB পথে অগ্রসর হইয়া সেখানেই কিয়ৎক্ষণের জষ্ঠ, পরাবুল হইয়াছে, সেইপানেই হাল ছাড়য়। দয়া নিরাশভাবে ললিয়াছে, এইখনে একজন শিল্পীর আবখ্যকতা । পরমাণুর গঠনে শিল্পীর অবিস্তকতা আছে কি না, যাহারা সম্প্রতি মানববুদ্ধির বিজয়বৈজয়ন্তী বহন করিয়া অগ্রগত মাক্সেয়েদের পদানুসরণ করতেছেন, তাহারাষ্ট বোধ কার ত{হর উত্তর দিবেন । আর এক সম্প্রদায় আছেন, তাহারা বলেন, জগৎ ও ঈশ্বর অভিন্ন, জগৎ ছাড়া ঈশ্বরের কল্পনার দরকার নাই । জগৎ ঈশ্বর হইতে উদ্ভুত, অথব জগৎ ঈশ্বরেরই যুক্তি। এই মতানুসারে স্বষ্টি শব্দের সার্থকতা নাই ; কষ্টব্যাপার বা স্বষ্টিঘটনা বলিয়া কিছু কখনও সংঘটিত হয় নাই । এই সম্প্রদায়কে ইংরাজীতে স্থূলতঃ পানথা বলে ; ইহাদিগকে গালি দেওয়া সহজ, কিন্তু নিরুত্তর করা তত সহজ নহে । মানবজাতি বহুদিন হইতে যে সংস্কার পোষণ করিয়া ত্যাসিতেছে, তাঙ্গার মূলোচ্ছেদ সহজ ব্যাপার নহে। আমাদের বিশ্বাস, জগৎ নামে একটা বিচিত্র প্রকাও অসীম পদার্থ অনন্ত দেশ ব্যাপিয়া এবং কাহারও মতে অনাদি কাল ব্যাপিয়া বৰ্ত্তমান আছে । মনুষ্য স্বয়ং সেই জগতের একটু ক্ষুদ্র অংশ ; তাহার খানিকটমাত্র মামুন্ন দেখিতে পায় ও কিছুক্ষণ মাত্র দেখে। এই অংশটুকু মনুষ্যের পরিচিত।
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।