পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b" জিজ্ঞাসা জ্ঞানের বিকাশের ও উন্নতির সহিত সেই অসীম জগতের পরিচিত অংশের পরিধি ক্রমে প্রসার লাভ করে বটে ; কিন্তু অসীম জগতের তুলনায় সেই পরিচিত অংশের . পরিমাণ সৰ্ব্বদা এবং সৰ্ব্বতোভাবে নগণ্য । সম্প্রতি জগতের অতি সঙ্কীর্ণ অংশে আমাদের জ্ঞান আবদ্ধ রহিয়াছে ; কিন্তু এই সঙ্কীর্ণ পরিধির বাহিরে আরও বিশালতর যে ংশ রঙ্গিয়াছে, তাই আমাদের সম্পূর্ণ অপরিচিত । তাহার কিয়দংশের সহিত কালক্রমে আমাদের চেন শুনা ঘটিতে পারে ; কিন্তু সমগ্রট কখনই জ্ঞানের সীমার ভিতর আসিবে না । এই প্রকাও পদার্থ টা একটা প্রকাণ্ড জটিল ঘন্ত্রবিশেষ ; যতই আমরা ইহার সহিত পরিচিত হই, ততই ইহার জটিলতা আমাদের নিকট খুলিয়া যায় ; ততই আমরা দেখিতে পাই, কতকগুলি সুসঙ্গত নিয়মের শৃঙ্খলায় সমুদায় চাকাগুলি পরস্পরকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত রাখিয়াছে ; এই প্রাকৃতিক নিয়মগুলি জ্ঞানীয়ত করিতে পারিলেই জগৎযন্ত্রের জটিলতা ঘুচিয়া উহার কার্য্যপ্রণালী ক্রমশ: স্পষ্ট হইয় আসে । এই জটিলতার উন্মোচনই বিজ্ঞানশাস্ত্রের একমাত্র সম্পাদ | - একটু সূক্ষ্মভাবে দেখিলে এই প্রচলিত মতট অনেকখানি বিপৰ্য্যস্ত হইয়া যায়। আমা ভিন্ন আর কোন স্বতন্ত্র পদার্গের অস্তিত্ব ঠিক প্রতিপন্ন হয় না । আমি আছি, এটা ঘেমন প্রমাণনিরপেক্ষ সত্য মা ছাড়া আর কিছু আছে, তাহা ঠিকৃ তেমন সত্য নহে ; এবং তাগর অস্তিত্বের প্রমাণ খুজিয়া মিলে না । সাংখ্য দর্শন পুরুষ হইতে স্বতন্ত্র প্রকৃতির অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া লষ্টয়াছেন ; এবং পুরুষ-প্রকৃতির সম্মিলনের বা সাক্ষাৎকারের ফলে ব্যক্ত জগতের অভিব্যক্তি সুন্দরভাবে বুঝাইয়াছেন। কিন্তু এই প্রকৃতির অস্তিত্ব একটা অনুমান মাত্র ; এই অনুমান ব্যতীত অন্ত উপায়ে যদি জগতের অভিব্যক্তি বুঝা যায়, তাহা হইলে ইহা স্বীকার করিতে সকলে সন্মত না