পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ জিজ্ঞাসা ও শক্তির নাশ, এই দুইটাও ঐ হিসাবে সত্য। দর্শন-শাস্ত্রে এক প্রচলিত বাক্য আছে, অভাব হইতে ভাবের উৎপত্তি হয় না—অস হইতে সৎ জন্মে না ; জড় ও শক্তির অনাদিত ও অনস্ততা, এই ব্যাপকত সত্যের অন্তর্গত । মোটের উপর কিছু-না’ হইতে ইহাদের উৎপত্তি এবং কিছু-না’তে ইহাদের লয় আমাদের ধারণায় আইসে না ; সুতরা উহা সত্য বলিয়া মানিয়া লইতে হয় । আমাদের কল্পনায় আসে না, আমরা ধারণা করিতে পারি না,—এ বাক্যেই গোল থাকিল । যাহা আমাদের কল্পনায় আসে না, তাহ অন্তের কল্পনায় আসিতে পালে । আমরা যাহা কল্পনা করিতে পারি না আর কেহ যে তাহ কল্পনা করিতে পারিবে না, এরূপ নির্দেশ করিবা অধিকার আমাদের আছে বলিয়া বোধ হয় না । সুতরাং যাহা আমাদের নিকট সত্য, তাহা সচ্ছন্দে অন্তোর নিকট অসত্য হইতে পারে ; তাহাকে পূর্ণ সত্য, নিরপেক্ষ সত্য, এরূপে নির্দেশ করিলে আমাদের অধিকারের সীমা ছাড়িয়া যাইতে হয় । আকাশের সসীমতা আমরা কল্পনা করিতে পারি না ; হয় ত এমন জীব আছে, যাহাদের মানসিক বৃত্তি আমাদের অপেক্ষা পুর্ণ, তাহারা আকাশের অবধি কল্পনা করিতে সমর্থ ; শুধু * কেন, হয়ত আমাদের কল্পিত অসীম আকাশকে তাহারা স্পষ্টই দ্ব দেখিতে পায় । এরূপ জীবের অস্তিত্বের কোন প্ৰমাণ নাই, কিন্তু জ্ঞান লইয়া আমরা জোর করিয়া বলিতে পাবি না যে, এরূপ মান নাই। হেলমহোলৎজ ক্লিফোর্ড প্রভৃতি পণ্ডিতেরা এইরূপ অদ্যায় আবদারের বিরুদ্ধে দাড়াইয়া দেখাইয়াছেন যে, তঃসিদ্ধ প্রতিজ্ঞাগুলিকেও পূর্ণ সত্য বলিয়া নির্দেশ করিতে রী নহি । ত্য অর্থে আমাদের পক্ষে সত্য ; নিরপেক্ষ নহে— হে–আংশিক ; সাৰ্ব্বভৌমিক - নহে-প্রাদেশিক ;