পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৃষ্টি } o లి পরিমাণ ইহারই নাম জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞানচর্চা,—যাহার ফলে জ্ঞানের উন্নতি হা বিকাশ । আমার জগতে আমি নিয়মের প্রতিষ্ঠা করিয়াছি ; ক্ষুধা পাইলে আমি খাই, ঘুম পাইলে ঘুমাই ও আমার জগতে অহোরাত্র পর্যায়ক্রমে ঘুরিয়া ফিরিয়া আসে। ঐ ব্যক্তি, যাহাকে পাগল বলা যায়, উছার জগতে নিয়মের প্রতিষ্ঠা হয় নাই ; ও ব্যক্তি ক্ষুধা পাইলে খায় না এবং উহার নিকট বোধ করি দিনের পর রাত্রি ও রাত্রির পর দিন ঘটে না । উহার ০ একটা জগৎ আছে ; কিন্তু সেটা আমার জগতের মত সুনিয়ত স্থব্যবস্থ নহে ; সে জুগৎটা এলোমেলো অসংযত, অযথা ন্যস্ত । প্রকৃতি যেমন আমারই অস্তরে, প্রকৃতির দেশব্যাপ্তি ও কালবাপ্তি তেমনি আমারই অস্তরে, এবং প্রকৃতিতে নিয়মের শৃঙ্খলা তেমনি আমারই স্বষ্টি । জগৎ অনন্ত, এ কথা অর্থহীন ; কাল অনাদি, এ কথা ০ অর্থহীন ; দেশ অসীম, এ কথাও অর্থহীন । আমার জগৎ সান্ত ; যে টুকু আমি যখন দেখিতেছি, সেই টুকুই তখন অস্তিত্ব’ বান্‌ ; তাহ ছাড়িয়া অন্ত কিছুর অস্তিত্ব নাই । গামার কালও সাদি ও সাপ্ত ; যে টুকুর সহিত আমার পরিচয়, সেই টুকুই অস্তিত্ববান। 'অনাদি’ ‘অনন্ত’ এই সকল লম্বা বিশেষণ কবিকল্পন, বাক্যালঙ্কার, কাব্যে শোভা পায় ; জ্ঞানে উহাদের অস্তিত্ব নাই । আমার আত্মবিকাশের সহিত আমার জগতের পরিধি বাড়িতেছে, দেশের সীমারেখা ও কালের সীমারেখা দূর হইতে আরও দুরে ক্রমে সরিয়া যাইতেছে । জগতে নিয়মের প্রতিষ্ঠ দৃঢ়ীকৃত হইতেছে । যাহার নিকট নিয়মের প্রতিষ্ঠা আছে, তাঙ্গার আত্মা সুস্থ, বলিষ্ঠ ও সামর্থ্যবান । যাহার নিকট নিয়মের প্রতিষ্ঠা নাই, সে বাতুল বা পাগল। আমার নিজের এই অভিব্যক্তির নাম প্রাকৃতিক স্বষ্টি বা জগতের স্বষ্টি । বিজ্ঞান আর দ্বিতীয় স্বষ্টির বিষয় অবগত নহে। পৃথিবীর ইতিহাসে