কে বড় ? ১১৩ না। তাহাদের দুরত্ব এত বেশী, যে তাহদের আলোক হয়ত মামুষের জীবনকালে আসিয়াই পৌছে না । এইরূপ বহু লক্ষ নক্ষত্রের মধ্যে স্বৰ্য্য একটি ক্ষুদ্র নক্ষত্র । আমাদের ক্ষুদ্র পৃথিবী আবার সেই ক্ষুদ্র নক্ষত্রের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র । এককালে হয়ত আমাদের পৃথিবী আমাদের স্বর্য্যেরই অংশগত ছিল ; স্বৰ্য্য সে কালে এমন ছিল না । হয়ত বাষ্প জমিয়া, হয়ত কোটি কোটি উল্কাখণ্ড জমাট বাধিয়া, স্বর্ঘ্যের উৎপত্তি হইয়াছে, ও স্বর্য্যেরই এক একটা টুকুর। কোনরূপে বিক্ষিপ্ত হইয়া পৃথিবী ও অন্যান্ত গ্রহের উৎপাদন করিয়াছে। এইরূপে কত কোটি বৎসর অতীত হইয়া গেল, যখন আমাদের এই পৃথিবীর অস্তিত্বই ছিল না, যখন ইহা স্বৰ্য্যের অন্তভূক্ত ও শরীরগত ছিল । পরে এই পৃথিবী পৃথকৃ-অস্তিত্ব-বিশিষ্ট হইয়াও কত লক্ষ বৎসর ধরিয়া শীতল হইয়াছে। যখন ইহার পৃষ্ঠদেশ অগ্নিময় ছিল, তখন ইহাতে কোন জীবের উৎপত্তি হয় নাই। কালে ভূপৃষ্ঠ জীবের বাসযোগ্য হইলে জীবের উৎপত্তি হইয়াছে । আবার কত লক্ষ বৎসর ধরিয়া প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে ও অন্তান্ত কারণে সেই সকল জীব হইতে ক্রমশঃ উৰ্দ্ধতন পর্য্যায়ের জীবের বিকাশ হইয়া অবশেষে মানুষের উৎপত্তি হইয়াছে। কিছুদিন পূৰ্ব্বে, হয়ত কয়েক লক্ষ বৎসর মাত্র পূৰ্ব্বে, পৃথিবীতে মানুষ ছিল না। এই যে কয়েক বৎসর পৃথিবীতে মানুষ দেখা দিয়াছে, সে কয়েক বৎসর পৃথিবীর সমগ্র বয়সের তুলনীয়, সৌর জগতের বয়সের তুলনায়, বিশ্ব জগতের বয়সের তুলনায়, এক নিমেষও নহে। মানুষ যখন প্রথম পৃথিবীতে দেখা দিল, তখন নরে বানরে তেমন অধিক প্রভেদ ছিল না । কালে প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনেরই প্রভাবে মানুষেরও উন্নতি ঘটিয়াছে, মানুষ সমাজবদ্ধ হইয়া ক্রমোন্নতি সহকারে তাহার বর্তমান পদবী লাভ করিয়াছে । মানুষের এই উন্নতির মূলে মুখ্যতঃ প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন। মানুষ
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।