পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৮ জিজ্ঞাসা তোমারই স্বষ্টি । তোমার জগৎ কি অনন্ত ? মিথ্যা কথা ! তোমার জগৎ সান্ত, সঙ্কীর্ণ, পরিধিবা । তোমার জগৎ, অর্থাৎ তোমার দর্শন, তোমার স্পর্শ প্রভৃতি দ্বারা তুমি যে জগতের সঙ্গে কারবার করিয়া থাক, সে জগৎ সান্ত । তবে তাহার পরিধি প্ৰসরণশীল, তাহার সীমারেখা ক্রমেই সরিয়া যাইতেছে। কেন ? তোমার ব্যক্তিত্বের স্ফর্তির সহকারে, তোমার ব্যক্তিত্বের অভিব্যক্তির সঙ্গ করে, তোমার জগতের পরিধি প্রসার লাভ করিতেছে । ঠিক যে প্রণালীতে তুমি জগতের স্বষ্টি করিয়াছ, ঠিক সেই প্রণালীক্রমে তোমার জগতের সীমা বাড়াইতেছ । দেশে তাহার সীমা বাড়াইতেছ ও কালে তাহার সীমা বাড়াইতেছ। তোমার ব্যক্তিত্ব ক্রমে ফুৰ্ত্তিলাভ করে, ক্রমশঃ অভিব্য কু হয় । কেন হয় তাহ জানি না, তোমার ‘তুমিত্বের’ এই লক্ষণ । তোমার যে অবস্থার নাম সুপ্তাখস্তা, তখন তোমার জগৎ খাট হইয়া সঙ্কীর্ণ পরিধির মধ্যে লীন হয় ; তোমার যে অবস্থার নাম জাগ্রত অবস্থা, তখন তোমার জগতের পরিধি বিস্তৃত হয় । কিন্তু তোমার সমগ্রজীবনের মধ্যে এমন কোন মুহূৰ্ত্ত, এমন কোন ক্ষণ, দেখি না, যখন তোমার জগৎ অনন্ত ও সীমাহান ও পরিধিহীন । তুমি জগতেল স্বষ্টি করিতেছ, ক্রমশঃ জগৎকে গড়িয়া তুলিতেছ ; কোথায় তুমি থামিবে, তাহ জানি না ; তুমিও তাহ জান না । সেই জন্ত তৃমি বলিতেছ, জগতের সীমা নাই । তুমি ভ্রান্ত । তোমার অভি ক্রর সীমা তুমি পাও নাই, তোমার স্বষ্টিক্ষমতার সীমানিৰ্দ্দেশে তুমি সমর্থ হও নাই, এই পর্য্যন্ত সত্য । তোমার জগৎ স্বনিয়ত, সুব্যবস্থ, শৃঙ্খলাযুক্ত। বিস্মিত হইও না । সে তোমারই কীৰ্ত্তি | জগতে নিয়ম আছে, কেননা তুমি জগতে নিয়ম স্থাপন করিয়াছ । জগতের স্রোত আকাশ ব্যাপিয়া কাল বাহিয়া চলিতেছে ; শুনিয়তভাবে চলিতেছে ; কেননা তোমার লীলাক্রমে উহ ঐরূপ চলিতে বাধ্য। তোমার জগতে নিয়ম আছে, ব্যবস্থা আছে ;