পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক না দুই ? ১২১ জীবনসমরে কোনরূপে মানসিক শ্রমের লাঘব ঘটিলেই তজ্জনিত আরাম ও জানন স্বতই উপস্থিত হয়। এইজন্য মনুষ্যের মন অসংখ্যকে অল্পসংখ্যকের মধ্যে ফেলিবার জন্ত, জাগতিক পদার্থনিচয়কে, জগতের উপাদানগুলিকে, কয়েকটা পরিচিত শ্রেণীর মধ্যে আনিবার জন্ত, ব্যাকুল । এইরূপে মানসিকশ্রম সংক্ষেপ করিবার উদ্দেশ্যে গোটাকতক শ্রেণীর মধ্যে সমুদয় জাগতিক পদার্থকে পূরিবার চেষ্ট, বহুকাল হইতে দেখা যাইতেছে । যাবতীয় পদার্থকে শেষ পর্য্যন্ত গোটাকম্ভূতক শ্রেণীতে ফেলিতে হঠবে। সেই শ্রেণীর সংখ্যা যতই কম হয়, ততই সুবিধা । এখন প্রশ্ন এই, কোথায় গিয়া থামিবে, দশে না পাচে না দুইয়ে না একে ? কেহ কেহ বলেন, দুইয়ে । সমস্ত জগৎকে দুইটা ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে ; সেই দুইটার মধ্যে আর কোন সাধারণ লক্ষণ, কোন সমানত। বা সামান্ত, বৰ্ত্তমান নাই ; উহারা পরস্পর এত তফাত যে, উহাদিগকে আর একের ভিতর, এক পর্য্যায়ের ভিতর আন চলে না । আবার কেহ কেহ বলেন, দুইয়ে থামিব কেন ? একটু অভিনিবেশ করিলে সেই দুইয়ের মধ্যে সাদৃশু, সামান্ত, বা সাধারণ লক্ষণের অস্তিত্ব বাহির করা যাইতে পারে। সুতরাং দুইকেও টানিয়া একের ভিতর ফেলিতে পারা যায়। অথবা বলা যাইতে পারে, তোমরা যাহাকে সম্পূর্ণ বিভিন্ন পদার্থ বলিয়া মনে করিতেছ, তাহ।"প্রকৃত পক্ষে একই, উভয়ের মধ্যে বস্তুগত কোন পার্থক্য নাই । যা কিছু পার্থক, তাহা আকৃতিগত বা রূপগত । একই জিনিষ বিভিন্ন রূপে বর্তমান । এইরূপে দুই সম্প্রদায় পরস্পরকে লক্ষ্য করিয়া বিষম কোলাহল করেন । কেহ বলেন দুই ; কেহ বলেন এক । কোলাহল তীব্র ও কর্ণভেদ। কখনওঁ ইহার নিবৃত্তি হইবে বোধ হয় না। - কথা হইতেছে জ্ঞানগোচর পদার্থ লইয়া, জগতের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ