পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ জিজ্ঞাসা উপাদান উপকরণ লইয়া । এখন জগতের উপাদান কি ? জগতের উপাদান স্বৰ্যচক্র, গ্রহনক্ষত্র, জলবায়ু, রূপরস, সুখদুঃখ, রাগদ্বেষ ইত্যাদি। এই সকলই জগতের উপাদান। স্বর্য্যচন্দ্রাদিও যেমন জগতে বর্তমান, রূপরসাদি বা হর্ষালন:দদি ০ তেমনি জগতে বর্তমান । সক লষ্ট আমাদের জ্ঞানের গোচর বা অনুভবগম্য। ঐ কুলকে লইয়াই এই বিশাল বিচিত্র জগৎ । প্রথম দৃষ্টিতেই এই সকল পদার্থের মধ্যে একট প্রকাও পার্থক্য আসিয়া পড়ে, যাহা ধরিয়া দুইটা জাতির মধ্যে সবগুলিকে ফেলা চলিতে পারে। চন্দ্রস্থর্যা হইতে বালুকণা পৰ্য্যন্ত এক জাতীয় সামগ্ৰী ; অনেক প্রভেদ থাকিলেও একটা সহজবোধ্য সাদৃশু লইয়া ইহারা জ্ঞানগোচর হয়। আর সুখদুঃখ রাগদ্বেষ ইহাদের হইতে সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন প্রকৃতির পদার্থ ; উহারা যেন আর একটা স্বতন্ত্র জগতের উপাদান । সুতরাং জগতের পানে চাহিবামাত্র প্রথম দৃষ্টিতেই দুই শ্রেণীর পদার্থ দেখা দেয় । এক শ্রেণীর পদার্থকে আমরা জড় পদার্থ ও অন্ত শ্রেণীর পদার্থকে চিৎপদার্থ অভিধান দিই। জড় যেন চৈতন্থ ইষ্টতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পদার্থ, উভয়ের মধ্যে কোন মিল নাই, কোন সদৃশু নাই । জগৎ যেন হুইট,–একটা জড়জগৎ, একটা চিৎ-জগৎ ব’ : নাজগৎ । উভয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কোথায়, তাহা একটু তলাইয়া দেখা আবশ্রাক । প্রথমেই দেখা যায়, জ ভুজগৎ আমাদের ইন্দ্রিয়ের গোচর জগৎ ; অর্থাৎ চক্ষু কর্ণাদি কতিপয় শারীরিক যন্ত্রযোগে আমর। জড়জগতের সহিত কারবার চালাইয়া থাকি । এই সকল যন্ত্রগুলিকে আমরা ইন্দ্রয় আখ্যা দিয়া থাকি, এবং আমরা জানি, এই ইন্দ্রিয়গুলিই আমাদের জড়জগৎ সম্বন্ধে সমুদয় জ্ঞানের দ্বারস্বরূপ, অর্থাৎ ইন্দ্রিয়ের ভিতর দিয়া ঐ জ্ঞান