裘
- R8 জিজ্ঞাসা
অস্তিত্ব অনুমান করিয়া লই, সে আমাদের কল্পনার বা স্বষ্টিক্ষমতার একটা বাহাদুরি । আবার সেই ঈথরে যখন টান পড়ে, তখন যে বিবিধ ক্রিয়া ইন্দ্রিয়গোচর ও অনুভবগোচর হয়, তাহাদিগকে তাড়িত ব্যাপার অভিধান দিই। আবার সেই ঈশ্বরে যখন ঘূর্ণ বা আবৰ্ত্ত জন্মে, তখন যে সকল ক্রিয়া অনুভবে আইসে, তাহাদিগকে চৌম্বক ব্যাপার বলিয়া থাকি । সেই ঈথরে যখন বড় বড় ঢেউ চলিতে থাকে, উপযুক্ত ইন্দ্রিয়ের অভাবে আমরা তাহাদিগকে ধরিতে পারি না বটে, কিন্তু কৌশলক্রমে সেই বড় বড় (চট্টগুলিকেই রূপান্তরিত করিয়া ইন্দ্রিয়গোচর করিবার ব্যবস্থা সম্প্রতি আবিস্কৃত হইয়াছে । তবে ঈথর আমাদের ইন্দ্রিয়গোচর নহে, কিরূপে বলিব ? ঈথর যদি ইন্দ্রিয়গোচর না হয়, তবে বায়ু, জল বা মাটিই বা আমাদের ইন্দ্রিয়গোচর কিরূপে ? মাটি ও জল ও বায়ু ইহারাও ত আমাদের জ্ঞানগোচর নহে, উল্লাহ দের গতিই আমাদের জ্ঞানগোচর । বায়ু যখন বহিতে থাকে, তখন আমরা উহার ধাক্কা খাই ; বায়ুর কণাগুলি যখন কঁাপিতে কঁাপিতে আমাদের শ্রবণেন্ধিয়ে ধাক্কা দেয়, তখনই আমরা শব্দ শুনি ; বায়ুর, জলের বা মাটির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকাগুলি যখন দুলিতে দুলিতে আমাদের ত্বকের উপর ধাক্কা দেয়, তখন আমরা উহাদের শীতোষ্ণতা বুঝিয়া থাকি ; আবার এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলির কম্পন যখন ঈথরে সংক্রান্ত ইয়া দুর হইতে আসিয়া আমাদের দর্শনেঞ্জিয়ে ধাক্কা দেয়, তখন আমরা দুরে ঐ সকল কণিকার অস্তিত্ব কল্পনা করিয়া লই । সময়ে সময়ে এমনও হয়, ঈথরের ঢেউগুলি আসিতে আসিতে ঘুরিয়া গিয়া এক মুখ হইতে অন্ত মুখে চলিয়। দর্শনেন্দ্রিয়ে আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন আমরা যে স্থানে উহাদের অস্তিত্ব ও অবস্থিতি কল্পনা করি, সেখানে উহাদের অস্তিত্বও নাই, অবস্থিতিও নাই। উদাহরণ—প্রতিবিম্ব ও মরীচিকা । কোন জড়পদার্থই মুখ্যভাবে আমাদের ইন্দ্রিয়গোচর নহে ; উহাদের