পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক না দুই ? ১২৯ জগৎ । কেহ “জড়জগৎ ও গতিজগৎ" না বলিয়া হয় ত "জড়জগৎ ব৷ গতিজগৎ” বলিবেন । র্তাহার। হয়ত বলিবেন, গতিই জড়, গতি ভিন্ন জড়ের আর পৃথক্ অস্তিত্ব নাই। সে তর্কে এখন কাজ নাই। কিন্তু বিশ্বজগতের আর একটা বৃহৎ অংশ আছে, তাহা এই জড় জগতের বা গতি জগতের সামিল নড়ে । আমার আশা, আমার বাসন, আমার হর্ষ ও আমার বিষাদ, সম্পূর্ণ জ্ঞানগোচর অস্তিত্ববিশিষ্ট সামগ্রী। বরং চন্ধস্বৰ্য্য, ক্ষিতাপতেজ ছাড়িয়া আমি দুই দণ্ড থাকিতে পারি, কিন্তু ইহুদিগকে ছাড়িয়া আমার এক পা চলবার সামর্থ্য নাই। স্বপ্ন কালে যখন চন্দ্রস্বর্য ক্ষিতাপতেজ অজ্ঞানে লীন হইয়া যায়, তখনও হর্ষাবষাদ আশাভয় স্মৃতি ও বাসনার ছায়া আমার সম্মুখে নৃত্য করে। ইহার অস্তিত্ববান ; কিন্তু ইহারাও কি জড়পদার্গ ? ইহাদের গতি আমরা বুঝি না ; ইহাদের দেশব্যাপ্তি আমাদের ধারণায় আইসে না । ইহাদের রূপ নাই, রস নাই, গন্ধম্পর্শও নাই ; সঙ্গে সঙ্গে ইহাদের আকার আয়তন স্থিতি গতিও নাই ; মোট কথায় ইহাদের দেশব্যাপ্তি নাই, অথচ কালব্যাপ্তি আছে ; ভয় এষ্ট ছিল, এই নাই ; আশি। তখনও ছিল, এখন আর নাই ; বাসনা লুপ্ত ইয়াছে ; স্মৃতি ক্রমে বিস্তুতিতে ডুবিতেছে । ইহাদের দেশব্যাপ্তি নাই, কিন্তু কালব্যাপ্তি আছে । সুতরাং দেশ-কাল-ব্যাপ্ত গতিশীল জড়জগৎ ছাড়া কালব্যাপ্তিমাত্র-বিশিষ্ট গতিহীন আর একষ্ট। চিৎ জগৎ বা মনোজগৎ আছে। সুতরাং আমাদের মূল প্রশ্নের উত্তর হইল, জগৎ দুইট, অথবা জ্ঞানময় বিশ্বজগতের দুইটা ভাগ ; একটা জড়জগৎ, গতিজগৎ, বাহজগৎ ; দেশ কালব্যাপ্তি ইহার মুখ্য লক্ষণ ; রূপরসগন্ধস্পশাদ ইহার গৌণ লক্ষণ ; অথবা রূপর সাদি উল্লিখিত গতির তন্দ্রিয়লব্ধ ফল । ইহা ছাড়া দ্বিতীয় জগৎ বর্তমান,—মনোজগৎ, চিং জগৎ বা অন্তর্জগৎ ; কেবল কালব্যাপ্তি ইহার লক্ষণ । ইহাতে দেশব্যাপকতা নাই, আছে