পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক না দুই ? ১৩৩ নাই ; থাকিবার সম্ভাবনা ও নাহ । শক্তির সহিতই আমাদের সাক্ষাৎ সম্বন্ধ। শক্তিময় জগৎ । শক্তি আমাদের প্রত্যক্ষ, শক্তিই বাহ জগতের প্রত্যক্ষ উপাদান । পদার্থবিদ্যা শক্তিরক্ট আনাগোনার আলোচনা করে। কাল্পনিক জড়ের সহিত আধুনিক পদার্থবিদ্যার কোন অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ নাই । জড়ের উল্লেখ মাত্র না করিয়া সমগ্র *माशांदमात्र আলোচনা আজকাল অসম্ভব নহে । যাহারা বিচারসংস্কৃত দার্শনিকবৃদ্ধিদ্বারা আধুনিক পদার্থবিদ্যা আলোচনা করিয়াছেন, তাহার। জানেন, জগতের মধ্যে গতিবিধির ক্রিয়া প্ৰণালী বুঝিবার জন্ত জড়পদার্থ নামক ੋਰੋ। কিন্তুতকিমাকার জিনিমের কল্পনার কোন প্রয়োজন নাচ । তবে পদার্থবিদ্যার মধ্যে জড়ের যে উল্লেখ দেখা যায়, উছা গণিতবিদগণের কল্পিত একটা সংজ্ঞামাত্র, উহার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব প্রমাণহীন । জড়ের অস্তিত্ব কল্পনামাত্র হইলে জড়বাদ 1ভত্তিশূন্ত হইয় পড়ে । জড়বাদ ভিত্তিশূন্ত হন্তলেও শাক্তবাদ থাকিয়া যায় । জড় অস্তিত্ব হীন হইলেও শক্তির অস্তিত্ব থাকিয়া যায় । কিন্তু আর একটু স্বক্ষ হিসাব করিলে দেখা যায়, শক্তিষ্ট বা কোথায় ? আলোক, তাপ, শব্দ প্রকৃত পক্ষে আমাদের নিকট দৃষ্টি, স্পশ ও শ্রুতি মাত্র ; আমরা যে ব্যাপারকে শক্তির আনাগোনা আখা দিয়া থাকি, তাহ কেবল আমাদের কতকগুলি প্রতীতির উৎপত্তি ০ ৱিলয় মাত্র । প্রকৃতপক্ষে এই প্রত্যয়গুলিই আমাদের প্রত্যক্ষ ; প্রত্যয়ের মূলে, প্রত্যয়ের কারণস্বরূপে আমরা যাহা কল্পনা করি, তাহা আমাদের অনুমান, তাহা আমাদের মানসিক ব্যায়াম, তাহ আমাদের বুদ্ধির খেলা। জড় যেমন কল্পিত পদার্থ, শক্তি ও সেইরূপ কল্পিত পদার্থ। বাহাজগতত একটা কল্পনা । এই শেষোক্ত উক্তির বিরুদ্ধে উত্তর আমি কোথাও দেখি নাই । উত্তর দিবার চেষ্টা অনেকস্থলে দেখিয়াছি, কিন্তু সে কেবল ছেলে