XVIV জিজ্ঞাসা যদি সঙ্কোচ বোধ হয়, চিৎপদার্থ অথবা এইরূপ আর একটা নাম ব্যবহার করিলে সে আপত্তি কাটিয়া যাহবে। ফলে যেমন পুৰ্ব্ব থাকলেই পশ্চিম থাকবে, উদ্ধ পাকিলেই অধঃ থাকবে ; সেইরূপ জ৬ থাকিলেই চিৎ থাকিবে । আধুনিক দার্শনিকগণের মধে যাহারা পদাগতত্ত্বের আলোচনা করেন, তাঙ্গাদের কেহ কে? এইরূপ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের পক্ষপাতী। উদাহরণ হব্বার্ট স্পেন্সার ও লয়েড মরগান। জড়জগতের তরফে এইভাবে ওকালতি আরম্ভ করিলে, উইার অস্তিত্ব উড়াচয় দিতে অতান্ত, পাষণ্ড বিচারকের ৪ মায়া জন্মিতে পাবে । কিন্তু তথাপি রূপরসগন্ধম্পশ নামধেয় আমার প্রত্যয় কয়েকটা ছাড়িয়া দিলে, এই বাহা জগতে আর কি সবাশষ্ট থাকে, তাহ৷ ত কোন মতেই ঠাহর পাইতেছি না। রূপরসাদির অস্তিত্বে আমি সন্দিহান নহি, উহারা আমারই প্রত্যক্ষ বস্তু ; উহারা আমার অন্তর্জগতের উপাদান। কিন্তু উঠাদিগকে ছাড়িয়া স্বতন্ত্র পদার্থ আমার বাহিরে কি আছে তাহ আমাকে কে বলিয়া দিবে ? রূপ দেখিতেছি, ইহা সত্য কং কিন্তু কাহার রূপ দেখিতেছি, এ প্রশ্নের কি উত্তর আছে ? গা রূপ দেখিতেছি, পাহাড়ের রূপ দেখিতেছি, চাদের রূপ দেখিতেছি, বই আমার মন-গড় কথা । আগুনে হাত দিলে যাতনা হইতেছে ; ; যাতনাট। সত্য কথা ; একটা স্পর্শ ও একটা রূপের একত্ৰযোগে একটা প্রত্যয় জন্মতেছে, ইহাও প্রকৃত কথা । কিন্তু সেই ধাতনার কারণ স্বরূপে, সেই স্পশের, সেই রূপের, সেক্ট প্রতায়ের কারণস্বপ পে, আম হইতে স্বতন্ত্র কোন বস্তু আমার বাহিরে বর্তমান আছে, ইহা কিরূপে স্বীকার করিব, বুঝিতে পার না। যখন আমার ঐ বিশেষ রূপের অনুভব হয়, তার সঙ্গেই ঐ স্পশেরও অনুভব ঘটে ; এবং স্পশ ও রূপ যখন একত্র প্রতীয়মান হয়, তখন ঐ প্রতীতিকে আমি অগ্নি আখ্যা দিয়া থাকি । এমন কি, যখনই অগ্নিনামক প্রভাতির সঠিত আমার হস্ত
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।