W2 জিজ্ঞাসা তাহার অধিকাংশই মরিয়াছে । কাল পর্য্যস্ত যাহারা ছিল, তাহদের অনেকে অজ নাই। তাই গণনা করিয়া বলি, আমি মরিব, তুমি মরিবে, যাহারা এখন আছে তাহারা সকলেই মরিবে, যাহারা জন্মিবে তাহারাও মরিবে । সাহসের সহিত আমরা গণিয়া বলি ; গণনাও সফল হয় ; তাই গণনাতে আমাদের বিশ্বাস । কিন্তু এই সাহসের মাত্রা সময়ে সময়ে কিছু অধিক বলিয়া বোধ হয় । দুঃসাহস অনেক সময় বিপদের মূল হইয়া দাড়ায় । নিৰ্ব্বাপিত আগ্নেয় পৰ্ব্বতের পাদদেশে অতিবিশ্বাসী মানুষ ঘরবাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিয়া সুখে সচ্ছন্দে সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করে ; একদিন অকস্মাৎ অগ্নিগিরি অগ্ন্যুদগীর করিয়া ধ্বংসকার্য সমাধানের পর তাহার অন্যায় সাহসের প্রতিফল দেয়। এখানে মানুষ তাহার ভূয়োদর্শন কর্তৃক প্রতারিত হয় মাত্র । তেমনি আমাদের ভূয়োদর্শন যে আমাদিগকে প্রতারিত করিতেছে না, কে বলিল ? কে বলিল, জগদযন্ত্র গত শত বৎসর যাবৎ যে নিয়মে চলিয়াছে, কালও সেই নিয়মে চলিতে থাকিবে ? স্বর্য এত কাল যে নিয়মে চলিয়াছে, কালও সেই নিয়মে চলিবে, তাহার নিশ্চয় কি ? সকলে মরিয়াছে বলিয়া আমাকেও মরিতে হইবে, কে নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারে ? এই পর্য্যস্ত বলিতে পারি, স্বৰ্য্য সম্ভবতঃ কাল উঠিবে, সম্ভবতঃ আমাকেও মরিতে হইবে । অর্থাৎ ভূয়োদুর্শনের উত্তরে নিশ্চয় নাই, সংশয় আছে নিয়মের শিকল পর মুহূর্তে ভাঙ্গিয়া যাইতে পারে ; আজ যাহা নিয়ম, কাল তাহা অনিয়মে পরিণত হইতে পারে । উত্তরে বলিতে পার, ইহাতেও নিয়মের অভাব প্রতিপন্ন কষ্ট - না । ঘড়ীর প্রিং ভাঙ্গিতে পারে, ঘড়ীর চাকায় মরিচা ধরিয়া চাকা থামিতে পারে, যে নিয়মে ঘড়ীর র্কাটা চলিতেছিল, তাহ আপাততঃ রহিত হইতে পারে। কিন্তু তাহাতে নিয়মের ব্যতিক্রম প্রমাণ হইল না । একটা সঙ্কীর্ণ নিয়মের বন্ধন ছাড়িয়া আর একটা ব্যাপকতর নিয়মের বন্ধন
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।