মাধ্যাকর্ষণ ➢8ጫ স্বৰ্য্য গ্রহ নহে ; পৃথিবীই গ্ৰহ । কেন না এখন হইতে স্থির হইল যে যাহার। স্বৰ্য্য প্রদক্ষিণ করেন, র্তাচারাই গ্রহ । কোপনিকসের পর কেপলার। কেপলার দেখাইলেন, গ্ৰহগণ স্বৰ্য্য প্রদক্ষিণ করে বটে, এবং উহাদের চলিবার পথ প্রায় বৃত্তাকার বটে, কিন্তু ੇ বৃত্তাকার নহে। একটা গোলাকার আঙটিকে দুই পাশ হইতে চাপ দিলে যেমন হয়, পথ কতকটা সেইরূপ । এইরূপ পথকে জ্যামিতিশাস্ত্রে বৃত্তাভাস বলিয়া থাকে স্বর্য্য সেই প্রায় বৃত্তাকার পথের, অর্থাৎ বৃত্তাভাসপথের, ঠিকৃ মধ্যস্থলে অবস্থিত না থাকিয় একটু পাশে অবস্থিত আছে । বৃত্তাভাস পথের যাহাকে অধিশ্রয় বলে, স্বর্য্যের অধিষ্ঠান সেইখানে । এই জন্ত প্রত্যেক গ্ৰহ কখন স্বয্যের একটু কাছে থাকে, কখন বা একটু দূরে যায় । এই আমাদের পৃথিপীষ্ঠ শীতকালে স্বৰ্য্যের একটু নিকটে আসে, আর গ্রীষ্মকালে একটু দূরে যায়। শীতকালে নিকটে থাকে শুনিয়া পাঠক চমকিয়া উঠিবেন না ; তাহাই ঠিকৃ। আর একটা কথ: ; কোন গ্রহ যখন স্বৰ্য্যের একটু কাছে থাকে, তখন একটু দ্রুত চলে, আর যখন একটু দূরে থাকে, তখন ঠিক সেই অনুপাতে একটু ধীরে চলে। কেপলার প্রত্যেক গ্রহের সম্বন্ধে কেবল এই কয়ট নুতন কথা বলিয়াই নিরস্ত হয়েন নাই । তিনি আরও একটা নুতন ব্যাপার দেখাইয়াছিলেন। তিনি দেখাইলেন, ভিন্ন ভিন্ন গ্রহের স্বৰ্য্য হইতে দূরত্বের সহিত উহাদের ভ্রমণকালের একটা সম্বন্ধ আছে । গ্ৰহগণ স্বতন্ত্রভাবে আপন আপন পথে ঘুরিতেছে বটে, কিন্তু আগে হইতে যেন একটা পরামর্শ আঁটিয়া ঘুরিতেছে। যে যত দূরে আছে, তাহাকে এক পাক ঘুরিয়া আসিতে তত অধিক সময় লাগিতেছে ; কত দূরে থাকিলে কত সময় লাগিবে, সে বিষয়েও একটা যেন নিয়ম পূৰ্ব্ব হইতেই স্থির হইয়া আছে। নিয়মটা এই। মনে কর, দুইটা গ্রহ ক আর খ ;
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।