মাধ্যাকর্ষণ >8。 দ্রুত যাইতে হইবে, দুরে গেলে একটু ধীরে চলিতে হইবে, ইহার আবার এতগুলি গ্রহ বিভিন্ন পথে চলিতেছে, অথচ ভ্রমণকালের এমন একটা বাধাবধি নিয়ম করিয়া লইয়াছে কেন ? কেপলার এই প্রশ্নের উত্তর দিবার চেষ্টা না করিয়াছিলেন, এমন নহে। উত্তর কতকটা এইরূপ —উহার ঘুরে—উহাদের মরজি ; উহার বড়লোক ও ভাললোক, উহারা কি আর অসংযত ভাবেঅনিয়মে ঘুরিতে পারে? অথবা এক একটা গ্রহ এক একটা দেবতার বাহন ; দেবতারা কি একটা মতলব আঁটিয়া ঐরূপ খেলা খেলিতেছেন । সূর্য্যের আকর্ষণে গ্ৰহগণ আপন পথে বিচরণ করে জানিয়া যাহার নিশ্চিন্ত আছেন, তাহারা কেপলারের উত্তরে হাসলে অন্তায় হইবে। কেপলারের পর দেকাৰ্ত্তে । তিনি বলিলেন, সূৰ্য্যমণ্ডলকে ঘেরিয়া ও সৌরজগৎ ব্যাপিয়া একটা নিরস্তর ঝড় বহিতেছে। গ্রহগুলা সেই ঝড়ের মুখে ভাসিয়া যাইতেছে । এই ঝড় যত দিন না থামিবে, উহাদিগকে ততদিন এইরূপে ঘুরতে হইবে । দেকাৰ্ত্তের পর নিউটন । নিউটন কেপলার প্রদশিত গ্ৰহগণের গতির নিয়ম আলোচনা করিলেন । দেখিলেন, প্রত্যেক গ্রহ নির্দিষ্টকালে নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট পথে বিচরণ করে । আরও দেখিলেন, যার দূরত্ব যত অধিক, তার ভ্রমণের কাল ও তত আঁধিক-দিন-ব্যাপী । দেখিলেন, এই দূরত্ব ও এই ভ্রমণকালের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সম্বন্ধ আছে । নিউটন সেই সমুদয় আলোচনা করিয়া গ্ৰহগণের গতির নিয়ম গুলি একটি সংক্ষিপ্ত স্বত্রে ফেলিলেন । স্বত্রটির আকার অতি সংক্ষিপ্ত ; কেপলারের আবিস্কৃত সমুদয় নিয়মগুলি সেই সংক্ষিপ্তম্বত্রের ভিতর নিহিত রহিয়াছে। সেই স্বত্রটির একটু আলোচনা করা যাউক । স্বত্রটি এই। প্রত্যেক গ্রহের প্রতি স্বর্য্যের অভিমুখে একটা আক
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।