পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্য 업 উপস্থিত হইল মাত্র । জগদ্যযন্ত্রকে এইরূপে ব্যাবেজ সাহেবের কল্পিত ধটকার সহিত তুলনা করা যাইতে পারে । জগদ-যন্ত্র আপাতত: বিকল বোধ হইলেও বস্তুতঃ নিয়মের অধীনতা এড়াইতে পারে না । আর একটা ব্যাপকতর নিয়মের অধীন হয় মাত্র । আমরাও বলিতেছি তাহাই । আমাদের ভূয়োদর্শন কেৰল সঙ্কীর্ণদেশব্যাপক, সঙ্কীর্ণকালব্যাপক নিয়মের বিষয়েই জ্ঞান জন্মায় । তদপেক্ষা ব্যাপকতর নিয়ম, যাহার ক্ষেত্রের পরিসর অধিক, তৎসম্বন্ধে ভূয়োদর্শন কিছুই বলিতে পারে না । আমাদের অভিজ্ঞতা যদি সীমাবদ্ধ না হইত, তাহা হইলে আমরা সাহসের সহিত নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারিতাম, অমুক সময়ে অমুক ঘটনা ঘটবে। কিন্তু তাহ যখন পারি না, তখন গণনামাত্ৰই নুনাধিক পরিমাণে অনিশ্চিত না হইয়া পারে না । তবেই দেখা গেল, প্রকৃতি যে চিরকালই তামাদের বর্তমানজ্ঞানানুমত প্রচলিত পরিচিত নিয়মে চলিবে এরূপ বলিবার আমাদের অধিকার নাই । প্রকৃতির কিয়দংশ চিরকাল গণনার বাহিরে থাকিবে ; আমাদের গণনা সময়ে সময়ে ব্যর্থ হইবে । তাই বলিয়া কি বৈজ্ঞানিকের অবলম্বিত পদ্ধতি দূষিত ? বলা বাহুল্য প্রকৃতির নিয়মানুবৰ্ত্তিতায় বিশ্বাস রাখিয়া বৈজ্ঞানিক তাহাৰু সমুদয় ভবিষ্যৎ গণনা সম্পাদন করেন। এই সত্য যদি অমূলক হয়, তবে বিজ্ঞানের কোন গণনাতেই বিশ্বাস স্থাপন চলে না । বিজ্ঞানের অবলম্বিত পদ্ধতি অশ্রদ্ধেয় হইয়া পড়ে । আমরা ততদুর বন্ধি নাশ কালের আদি নাই, আকাশের সীমা নাই, জড়ের বিনাশ নাই, শক্তির সৃষ্টি নাই, এই কথাগুলাও যেমন এক হিসাবে সত্য ; প্রাকৃত নিয়মের ব্যত্যয় হয় না, প্রকৃতির খেয়াল নাই, এটাও কতকটা সেইরূপ হিসাবে সত্য । পরস্তু, বৈজ্ঞানিকের অবলম্বিত প্রণালী ও সাধারণ মানুষের জীবন