পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধ্যাকর্ষণ >○○ আমরা বলি, বল রহিয়াছে। একটা কথাই দুই রকম ভাষাতে ব্যক্ত করি। " হরিচরণ ভাত খাইতেছেন, অথবা অন্নের পিওঁ গলাধঃকরণ করিতেছেন । গলাধঃকরণের কারণ কি খাওয়া ? অথবা খাওয়ার কারণ কি গলাধঃকরণ ? এ প্রশ্ন উপহাস্ত । সেইরূপ পৃথিবী স্বৰ্য্যকে ঘুরিতেছে ; স্বৰ্য্যমুখে পৃথিবীর প্রতি বল আছে বা আকর্ষণ আছে। ঘুরিবার কারণ বল, অথবা বলের কারণ ঘুরিয়া বেড়ান ? এ প্রশ্নও ঠিক সেইরূপ । একটা ঘটনা দুই রকম ভাষায়, বর্ণিত হইতেছে ; একটা ভাষা সরল ভাষা, সাধারণ লোকের বোধগম্য প্রচলিত ভাষা ; আর একটা ভাষা পণ্ডিতের ভাষা, সঙ্কেতের ভাষা, সংক্ষিপ্ত ভাষা ; এই পৰ্য্যস্ত তফাত । পৃথিবী ঘুরে কেন ? তাহার উত্তর হইল না । কেন ঘুরে, জানি না ; দেখিতেছি ঘুরিতেছে ; ঘুরিতেছে দেখিয়া বলিতেছি, বল আছে ; স্বর্য্যের মুখে গতি জন্মিতেছে ও স্বর্য্যের মুখে বল আছে। ঘুরিতেছে কেন, বল রহিয়াছে কেন, জানি না । কেপলার দেখিয়াছিলেন, বুধ, শুক্র, পৃথিবী প্রভৃতি সকলেই নির্দিষ্ট নিয়মে স্বর্য্য প্রদক্ষিণ কৰে । নিয়মটা কেপলার সহজ ভাষায় ; সাধারণের বোধগম্য চলিত ভাষায়, ব্যক্ত করিয়া গিয়াছিলেন । নিউটন সেই কেপলারেরই নিয়ম অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত ভাষায়, সাঙ্কেতিক ভাষায়, পণ্ডিতের বোধ্য ভাষায়, ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন। নিয়য়টা কি, তাহা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। দূরত্বের সহিত ভ্রমণকালের একটা বাধা সম্বন্ধ আছে। যে সকল গ্রহ স্বৰ্য্য প্রদক্ষিণ করে, সকলেরই ভ্রমণপক্ষে সেই নিয়ম : কেপলার সেই নিয়ম দেখিয়াছিলেন ; নিউটনও তাহান্ট ভিন্ন ভাষায় স্বত্রাকারে বিধিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। নিউটন আর একটু অধিক দেখিয়াছিলেন । কেপলার তাহা