মাধ্যাকর্ষণ ᎼᏩr☾ অনিয়ত বোধ হইত ; কেপলারের পর ও নিউটনের পর হইতে আমরা দেখিতেছি, এই সমুদয় গতির মধ্যে একটা সুন্দর নিয়ম বিদ্যমান আছে । নিয়মটা কিরূপ, তাহ নিউটন সংক্ষিপ্ত স্থত্রের আকারে নির্দেশ করিয়াছেন । তাই অমুক দ্রব্য আজি অমুক স্থানে রহিয়াছে বলিয়া দিলে, কাল বা দুই শত বৎসর পরে তাহ। কখন কোন স্থানে থাকিবে, অব্যর্থসন্ধানে গণিয়া থাকি ! কিন্তু এই সম্বন্ধ কেন ? এই নিয়মের অস্তিত্বের কারণ কি ? গ্ৰহগণ, উপগ্রন্থগণ ও আতাফল সকলেই একই নিয়মে চলাফেরা করিতেছে কেন ? এ প্রশ্নের কোন উত্তর মিলিল না । পৃথিবী আতাফলকে আকর্ষণ করে, তাই আতাফল গতিবিশিষ্ট হয় ; স্বর্য পৃথিবীকে আকর্ষণ করে, তাই পৃথিবী স্বৰ্য্যমুপে গতিবিশিষ্ট হয় ;—বলিলে চোখে ধূলা দেওয়া হয়। এই ধরণের উত্তর, বিজ্ঞানবিরুদ্ধ, নীতিবিরুদ্ধ ; ইহ প্রতারণ । অজ্ঞানকে জ্ঞানের সাজ দিলে যদি প্রতারণা হয়, ইহা সেইরূপ প্রতারণা। আতাফল পৃথিবীর দিকে চলে, ইহা সকলেই জানে । সালঙ্কার ভাষায় বলিতে পার, কবিতার ভাষায় বলিতে পার, পৃথিবী আতাফলকে আকর্ষণ করে বা আতাফলকে টানে । আকর্ষণের স্থলে অনুরাগ শব্দ বসাইলে বা প্রেম শব্দ বসাইলে ভাষা আরও কবিত্বময় হইতে পারে, অারও সরস হইতে পারে ; কিন্তু জ্ঞানের বৃদ্ধি কিছু হয় না। আতাফল পড়ে, এই শাদা কথাব যে মগ, পৃথিবী আতাকে আকর্ষণ করে, এই সরস কথার ও বুদ্ধিমানের নিকট সেই অর্থ। আতাফল কেন পড়ে, তাহ জানি না । জানিবার উপায় আছে কি? পৃথিবী আতাফলকে কোন অদৃশ্ব রজ্জর বন্ধনে বাধিয়। রাথিয়াছে কি ? হইতে পারে ; কিন্তু জানি না । নিউটন সৌর জগতের অন্তভুত দ্রব্যমাত্রেরই গতিতে একটা বিশেষ নিয়মের অস্তিত্ব দেখাইয়াছেন । নিউটন সাঙ্কেতিক ভাষায়
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।