পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়মের রাজত্ব ᎼᏬᏱ বায়ুমধ্যে, জলমধ্যে, তেলমধ্যে, পারদমধ্যে কোন জিনিষ রাখিলে তখন লঘুগুরু বিচার করিতে ইবে। ফলে ইছাই প্রাকৃতিক নিয়ম, ইহার ব্যভিচার নাই। প্রকৃতির নিয়ম অলঙ্ঘ্য । তবে যত দোষ এই জলের আর তেলের আর পারার আর বাতাসের। উহাদের সন্নিধিই এই বিষম সংশয় উৎপাদনের কারণ হইয়াছিল। ভাগ্যে মনুষ্য বুদ্ধিজীবী, তাই প্রকৃত অপরাধীর সন্ধান করিতে পারিয়াছে ; নতুবা প্রকৃতিতে নিয়মের রাজ্যটা গিয়াছিল আর কি ! বাস্তবিকই অপরাধ এই তরল পদার্থের ও, বায়বীয় পদার্থের । বেলুন উপরে উঠে, বায়ু আছে বলিয়া ; শোল জলে ভাসে, জল আছে বলিয়া ; লোহা পারায় ভাসে, পারা আছে বলিয়া ;—নতুবা সকলেই ডুবিত, কেহই ভাসিত না ; সকলেই নামিত, কেই উঠিত না । অর্থাৎ কিনা, পৃথিবী যেমন সকল দ্রব্যকেই কেন্দ্রমুখে আনিতে চায়, তরল ও বায়বীয় পদার্থমাত্রেই তেমনই মগ্নদ্রব্যমাত্রকেই উপরে তুলিতে চায় । প্রথম ব্যাপারের নাম দিয়াছ মাধ্যাকর্ষণ ; দ্বিতীয় ব্যাপারের নাম দা ও চাপ। মাধ্যাকর্ষণে নামায়, চাপে ঠেলিয়া উঠায় । যেখানে উভয় বর্তমান, সেখানে উভয়ই কাৰ্য্য করে । যার যত জোর । যেখানে আকর্ষণ চাপ অপেক্ষা প্রবল, সেখানে মোটের উপর নামিতে হয় ; যেখানে চাপ আকর্ষণ অপেক্ষা প্র*ল, সেখানে মোটের উপর উঠিতে হয় । যেখানে উভয়ই সমান, সেখানে—“ন যযৌ ন তস্থেী ।” এখন এ পক্ষ স্পৰ্দ্ধা করিয়া বলিবেন, দেখিলে, প্রাকৃতিক নিয়মের আর ব্যতিক্রম আছে কি ? আমাদের প্রকৃতির রাজ্যে কি কেবল একটা নিয়ম ; কেবলই কি একটা আইন ? অনেক নিয়ম ও অনেক আইন, অথবা একই আইনের অনেক ধারা। যথা— ১নং ধারা—পার্থিব আকর্ষণে বস্তুমাত্রই নিম্নগামী হয় । > *