পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४७8. জিজ্ঞাসা যেমন চন্দ্র ও পৃথিবী এক যোড়া বা পৃথিবী স্বৰ্য্য আর এক ঘোড়, কতকটা তেমনি। পরম্পর বেষ্টন করিয়া ঘুরিবার প্রয়াস দেখিয়াই বুঝা যায়, সৌর জগতের বাহিরেও এই আইন বলবৎ । কিন্তু সৰ্ব্বত্র বলবৎ কিনা বলা যায় না। কেন না, সংবাদের অভাব । দুরের নক্ষত্রগণ আমাদের হইতে ও পরস্পর হইতে এত দূরে আছে, যে পরস্পর আকর্ষণ থাকিলেও তাহ এত সামান্য ও তাহার ফল এত সামান্ত যে তাহা আমাদের গনণাতেও আসে না ও আমাদের প্রত্যক্ষসীমাতেও আসে না । সম্ভবতঃ এই আইনের এলাকা বহুদুর বিস্তৃত । দুরের নক্ষত্রেরাও সম্ভবতঃ সকলেই এই আইনের অধীন। কিন্তু যদি এই নিয়মের অধীন না হয়, যদি কোন একটা নক্ষত্র বা কোন একটা প্রদেশের নক্ষত্রগণ এই আইন ন মানে, তাই হইলে কি হইবে ? যদি বিশ্বসাম্রাজ্যের কোন নির্দিষ্ট প্রদেশের মধ্যে এই আইন না চলে, তবে কি ব্ৰহ্মাণ্ডকে নিয়মতন্ত্র রাজ্য বলিয়া গণ্য করিব না ? . মনে কর, সৌর জগতের মধ্যে নিউটন যে নিয়মের অস্তিত্ব আবিষ্কার করিয়াছেন, দেখা গেল বিশ্ব জগতের কোন প্রদেশে সেই নিয়ম চলে না, সেখানে গতিবিধি অন্য নিয়মে ঘটে ; তথন কি বলিব ? তখন নিউটনের নিয়মকে সংশোধন করিয়া লইয়া বলিব, বিশ্ব জগতের এই গদেশে এই নিয়ম ; অমূক প্রদেশে কিন্তু অন্ত নিয়ম। এই প্রদেশে এই নিয়মের ব্যভিচার নাই, ঐ প্রদেশে ঐ নিয়মের ব্যভিচার নাই । কিন্তু সৰ্ব্বত্রই নিয়মের বন্ধন,—জগৎ নিয়মের রাজ্য। তবে নিউটনের নিয়মই যে সৰ্ব্বত্র চলিবে, এমন কোন কথা নাই । ইহার উপর আর নিয়মের রাজত্বে সংশয় স্থাপনের কোন উপায় থাকিতেছে না। কোন একটা নিয়ম আবিষ্কার করিলাম ; যতদিন তাহার ব্যভিচারের উদাহরণ দেখিলাম না, বলিলাম এই নিয়ম