নিয়মের রাজত্ব ᎼᏬ© অখণ্ডনীয়, ইহার ব্যভিচার নাই । . যে দিন দেখিলাম, অমুক স্থানে আর সে নিয়ম চলিতেছে না, অমনি আমেগুমেণ্টের ব্যবস্থা ! তখনই ভাষা বদলাইয়া নিয়ম সংশোধিত ভাবে প্রকাশ করিলাম ! বলিলাম, অহে, এতদিন আমার ভূল হইয়াছিল ; ঐ ঐ স্থানে ঐ নিয়ম, আর এই এই স্থানে এই নিয়ম । আগে যাহা নিয়ম বলিতে ছিলাম, তাহ নিয়ম নহে ; এখন যাহা দেখিতেছি, তাহাই নিয়ম। প্রাকৃতিক নিয়মগুলি যেন ব্যাকরণের নিয়ম –যেন ব্যাকরণের স্বত্র । ইকারান্ত পুংলিঙ্গ শব্দে রূপ সৰ্ব্বত্র মুনি শব্দের মত, পতি শব্দ ও সখি শব্দ এই দুইটি বাদ দিয়া । এখানে সাবেক নিয়মের যে ব্যভিচার বা ব্যতিক্রম দেখিতেছ, উহ। প্রকৃত ব্যভিচার বা ব্যতিক্রম নহে, উহা একটা নবাবিষ্কৃত অজ্ঞাতপুৰ্ব্ব নিয়ম ;–এরূপ স্থানে এইরূপ ব্যভিচারই নিয়ম । ইহার উপর আর কথা নাই । অর্থাৎ কিনা নিয়মের যতই ব্যভিচার দেখ না কেন, নিয়ম ভাঙ্গিয়াছে বলিবার উপায় নাই । জলে শোল ভাসিতেছে, মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম ভাঙ্গিল কি ? কখনও না ; এখানে মাধ্যাকর্ষণ বর্তমান, তবে জলের চাপে শোলাকে ডুবিতে দিতেছে না। এ স্থানে ত ইহাই নিয়ম। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে আমাদের দেশে বর্ষ হয় । এ বৎসর বর্ষা সুবিধা মত হইল না ; তাহাতে নিয়ম ভাঙ্গিল কি ? কখনই না । এ বৎসর হিমালয়ে যথেষ্ট হিমপাত ঘটিয়াছে y অথবা মোশুমি হাওয়া আফ্রিকার উপকূল্পে এবার অতিবৃষ্টি ঘটাইয়াছে ; এবার ত এ দেশে বর্ষ না হইবারই কথা ; ঠিক ত নিয়মমত কাজই হইয়াছে। চুম্বকের কাটা উত্তরমুখে থাকে । ঠিক উত্তরমুখে ত থাকে না ; একটু হেলিয়া থাকে না ? একটু হেলিয়া থাকে । উহাই ত নিয়ম। আবার কলিকাতায় যতট। হেলিয়া আছে, লণ্ডন সহরে ততট। হেলিয়া নাই ; না থাকিবারই কথা ; উহাই ত নিয়ম। আবার কলিকাতায় এ বৎসর যতটা হেলিয়া
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।