> とb" জিজ্ঞাস। তেছে, স্বৰ্য্য পূৰ্ব্বে উঠে, নারিকেল ভূমিতে পড়ে, কাষ্ঠরূপী ইন্ধনযোগে প্রাকৃত অগ্নি উদ্দীপিত হয়, আর অন্নরূপী ইন্ধনযোগে জঠরাগ্নি কিয়ৎক্ষণের জন্য নিৰ্ব্বাপিত হয় । এই সকল ঘটনার পরম্পর সম্বন্ধ মনুষ্য বহুকাল হইতে জানে । আলোকবিজ্ঞান ও তাড়িতবিজ্ঞান প্রভৃতি নানাবিধ বিজ্ঞানঘটিত কত নুতন তথ্য, বিবিধ ঘটনার পরস্পর সম্বন্ধ, মনুষ্য অল্পদিনমাত্র জানিয়াছে । যত দেখে, ততই শিখে, ততই জানে ; যতক্ষণ কোন ঘটনা প্রত্যক্ষসীমায় না আইসে, ইন্দ্রিয়গোচর না হয়, ততক্ষণ তাহ অজ্ঞানের অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে। ইন্দ্রিয়গোচর হইলেষ্ট উহাদিগকে জড়াইয়া একটা নুতন তথ্যের, একটা নুতন প্রাকৃতিক নিয়মের আবিষ্কার হয় । কিন্তু পূৰ্ব্ব হইতে কে জানিতে পারে, কাল কোন নুতন নিয়মের আবিষ্কার হইবে ? বিংশ শতাব্দীর শেষে মনুষের জ্ঞানের সীমানা কোথায় পৌছিবে, আজ ভাছ কে বলিতে পারে ? সে যাহাই হউক, যাহা দেখিতেছি, যে সকল ঘটনা দেখিতেছি, তাহাদিগকে একত্র করিয়া, তাহাদের সাহচৰ্য্যগত ও পরম্পরাগত সম্বন্ধ যাহা প্রত্যক্ষগোচর হইতেছে, তাহাই নিরূপণ করিয়া, যখন প্রাকৃতিক নিয়মের স্থষ্টি, তপন প্রকৃতিতে অনিয়মের সম্ভাবনা কোথায় ? যাহা কিছু ঘটে, তাহা অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব হউক না কেন, তাহা যতই আজগুবি বোধ হউক না, তাহ প্রাকৃতিক নিয়মের অঙ্গ । কাজেই ব্ৰহ্মাও নিয়মের রাজ্য ইহাতে আবার বিস্ময়ের কথা কি ? ইহাতে আনন্দে গদগদ হইবারই বা কথা কি ? আর নিয়মের শাসনে জগৎযন্ত্র চলিতেছে মনে করিয়া একজন অতি প্রাকৃত শাস্তার, একজন স্বাষ্টছাড়া নিয়স্তার কল্পনা করিবারই বা অধিকার কোথায় ?
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।