পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতের অস্তিত্ব S জীবনযাত্রার আরম্ভ ইহাতেই বিশ্বাসে । এবং এই সত্যে বিশ্বাস করিয়া নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখিতে হইলে আরও কতকগুলা সত্যে বিশ্বাস করিতে হয় । যাহাতে বিশ্বাস না করিলে জীবনযাত্রা চলে না, বা নিজের অস্তিত্ব টিকে না, তাহারই নাম সত্য । স্পেন্সরের প্রদত্ত সত্যের সংজ্ঞা অপেক্ষ এই সংজ্ঞাটা একটু ব্যাপকতর। তবে উভয়ে কোন বিরোধ নাই । জগদ যন্ত্রে ব্যবস্থা নাই, নিয়ম নাই, এরূপ কল্পনায় আনা আমাদের অসাধ্য । মনে করিতে গেলে মনের গ্রন্থি ও জীবনের গ্রন্থি ছিড়িয়া যায় । মানবজীবনের সহিত সুতরাং সত্যের সম্বন্ধ । মানবকে বঁচিতে হয়, সেই জন্যই এটা সত্য, ওটা মিথ্যা বলিয়া স্বীকার করিতে হয় । মানবজীবনের বাহিরে সত্য নাই, মিথ্যা নাই । কি আছে বলা যায় না । পাঠক যদি মনে করেন, সতের গৌরব লঘুকৃত হইল, তাহা হইলে উপায় নাই । জগতের অস্তিত্ব তৰ্কশাস্ত্রে লাঠির যুক্তি নামে একটা অমোঘ বিচারপ্রণালীর উল্লেখ দেখা যায় । খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্ম এই এই কার্য্যের দ্বারা জগতে প্রেম ও শাস্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছে, অতএব খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্ম শ্রেষ্ঠ ; এইরূপে বিচার করিতে গেলে বিস্তর শ্রম স্বীকার করিতে হয় । খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্মের শ্রেষ্ঠত স্বীকার কর, নতুবা লাঠি—এই প্রবল"ন্ত্যায়ের নিকট সকলকেই মাথা নোয়াইতে হয় ; এবং বলা বাহুল্য খ্ৰীষ্টানের এই সংক্ষিপ্ত যুক্তিরই সবিশেষ পক্ষপাতী । শুনা যায় এই পরাক্রান্ত যুক্তিবলে প্রোটেষ্টাণ্ট ও ক্যাথলিকের জীবন্তদেহের চিতাগ্নির আলোকে ইউরোপের তামসযুগের আধার দূর করিবার চেষ্টা হইয়াছিল, এবং এই প্রচণ্ড যুক্তির সাহায্যে