পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমঙ্গলের স্বষ্টি ১৭৩ যদি সহজ চোখে কোনরূপ প্রমাণ না মিলে, তাহ হইলে ভবিষ্যতে জ্ঞানের উন্নতিসহকারে ইহার উপকারিত প্রতিপন্ন হইবে, এইরূপ আশ্বাস দিয়া তাহারা মনকে প্রবোধ দিয়া থাকেন। কিন্তু এই খানে একটা খটকা আসিয়া দাড়ায় । কোটি স্বৰ্য্যমগুলে পরিপূর্ণ জগতের মধ্যে পৃথিবী একটি ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র পালঙ্কাকণামাত্র এবং এই প্রকাগু জগতের অতি ক্ষুদ্র অংশ লষ্টয়াই মনুষ্যের কারবার । আবার এই পৃথিবীতেই এই কয়েক বৎসর মাত্র মনুষ্যের উদ্ভব ইয়াছে, এবং আর কিছুদিন পরে মনুষ্যের আবার বিলুপ হইবে, এ বিষয়ে নিতান্ত মুখ ভিন্ন অন্যে সন্দেহ করে না । বিশ্ব জগৎটার কিন্তু সীমা পাওয়া যায় না, এবং কোন কাল হইতে জগৎ বর্তমান আছে, এবং কতকাল ধরিয়া জগৎ রহিবে, তাহারও আদি অন্ত কিছু নিরূপণ হয় না । ক্ষুদ্র সাদি ও সাস্ত মনুষ্যের জন্য এত বড় অনাদি অনস্ত কারখানাট চলিতেছে, এইরূপ বিশ্বাস করা নিতান্তই অসম্ভব হইয় উঠে । পৃথিবীর ইতিহাসে মনুষ্য ছিল না, অথচ অন্যান্য জীবজন্তু বর্তমান ছিল, এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রহিয়াছে, এবং আমাদের এই ক্ষুদ্র পৃথিবীর বাহিরে অনন্ত আকাশে অবস্থিত অসংখ্য বৃহত্তর পৃথিবীতে জীবজন্তু যে বৰ্ত্তমান নাই, তাহারও প্রমাণ নাই ; এমন কি, পৃথিবীতে জীবের ধ্বংস হইলেও অনান্য গ্রহনক্ষত্রে জীব বর্তমান থাকিবে, ইহাই সম্ভব বলিয়া বোধ হয় । কাজেই জগৎটা কেবল মনুষ্যের জনা নিৰ্ম্মিত, মামুষেরই একচেটে ভোগ্য বস্তু এইরূপ বলিতে সকল সময় সাহসে কুলায় না । জগৎটা জীবের জন্য, চৈতন্যযুক্ত সুখদুঃখভোগী জীবমাত্রেরই জন্য স্বল্প হইয়াছে, এইরূপ নির্দেশষ্ট সঙ্গত হইয় পড়ে । এই বিচারে অধিক সময় নষ্ট করিবার দরকার নাই । মনুষ্য অথবা মনুষ্যেতর জীব, র্যাহার চৈতন্য আছে, যাহার সুখভোগের ও দুঃখভোগের ক্ষমতা আছে, তাহারই সুবিধার জন্ত, তাহাকেই বঁাচাইবার জন্য