ᎼᏄb~ জিজ্ঞাসা শূন্ত ইতর জীবের যাতনার উদ্দেশু ত একেবারে পাওয়াই যায় না । অগত্য বলিতে হয়, অমঙ্গলের উদ্দেশু মঙ্গলাত্মক ; অগত্য বলিতে হয়, মঙ্গল সম্পাদনের জন্ত অমঙ্গলের বিকাশ। বলিতে হয়, অল্পবুদ্ধি ও দুৰ্ব্বদ্ধি লোকে দূরদর্শনে ও স্বক্ষদর্শনে অসমর্থ। স্থল দৃষ্টিতে যাহা অমঙ্গল, স্বক্ষ দৃষ্টিতে তাহাই মঙ্গল । কথাটা প্রকৃত । অমঙ্গলের পরিণাম মঙ্গল । জীবসমাজেই দেখা যায়, দারুণ জীবনসংগ্রাম, রক্তপাত, দুৰ্ব্বলের নিগ্রহ, সবলের অত্যাচার, দুঃখ, যাতন, মৃত্যু : তাহার ফলে জীবসমাজেই অযোগের বিনাশ, যোগের অভু্যদয় । জীবের উন্নতির এই মুখ্যতম উপায়। অভিব্যক্তির এই প্রধান পথ । এই পথে ক্ষুদ্র জীবাণু হইতে মনুষের উৎপত্তি, জগতে এই বিবিধ বৈচিত্র্যের আবির্ভাব, বিবিধ সৌন্দর্য্যের বিবিধ রূপের ক্রমশঃ বিকাশ । সমস্তই একই স্বত্র অবলম্বন করিয়া । ভালর জয়, মন্দের ক্ষয়, সবলের জয়, দুৰ্ব্বলের ক্ষয়, মৃন্দরের বিকাশ, কুৎসিতের নাশ, সৰ্ব্বত্র এই একই স্বত্র ; তোমার ব্যক্তিগত সুখের জন্ত, তোমার উন্নতির জন্ত, তোমার আরামের জন্য, প্রকৃতির এই কারখানা চলিতেছে नां ব্যক্তির জন্য স্বষ্টি নহে ; জাতির জন্য স্বষ্টি। ব্যক্তির জীবনে বুথের আশা না থাকিতে পারে ; কিন্তু জাতির জীবনে স্বগের আশা আছে । জীবের ইতিহাস সাক্ষিরূপে দণ্ডায়মান । মনুষে ইতিহাস সাক্ষিশ্বরূপে দণ্ডায়মান। জীবস্বষ্টির আরম্ভ হইতে জীবনসংগ্রাম চলিতেছে। কত জীব এই সংগ্রামেনিষ্ঠুরভাবে জীর্ণ পিষ্ট আহত হইয়া ধরাধাম পরিত্যাগ করিল। শুধু জীব কেন ? কত জাতি এই ধরাপৃষ্ঠে দিনকতক জীবনের খেলা অভিনয় করিয়া বিদায় গ্রহণ করিয়াছে । ভূপঞ্জরের শুরমাল উদঘাটন করিয়া দেখ ; কত লুপ্ত জীবের কঙ্কাল ইহার সাক্ষ্য দিতেছে। কত অতিকায় হস্তী, কত ভীমকায় कूडौई, কত বিশাল বিহজম এককালে ধরাপৃষ্ঠে নাচিয়া বেড়াইয়াছিল। এখন তাহার কোথায় ?
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।