অমঙ্গলের স্বষ্টি ՏԳ:Տ এখন তাহার লোপ পাইয়াছে, তাহদের শিলাভূত কঙ্কালচয় তাহদের অস্তিত্বের একমাত্র সাক্ষী হইয়া বর্তমান । তাহারা গিয়াছে ; তাহার। জীবনদ্বন্দ্বে পরাভূত হইয়াছে ; অস্তে তাহদের স্থান গ্রহণ করিয়া তাহদের রাজ্যে নুতন রাজপাট স্থাপন করিয়াছে । পুরাতন গিয়াছে, নুতনের প্রতিষ্ঠ হইয়াছে। দুঃখ যাতনা ও মৃত্যুর পথ অবলম্বন করিয়া তাহার উন্নত জীবকে তাহাদের অধিকৃত স্থান ছাড়িয়া দিয়াছে । জীবন সংগ্রাম আজিও চলিতেছে । এখন দুঃখ, এখন যাতন, এখন মৃত্যু । কিন্তু ভাবী ফল উন্নতি, ভাব ফল বৈচিত্র্য, ভুবী ফল সোন্দর্য্য, ভাবী ফল অমঙ্গল হইতে মঙ্গলের আবির্ভাব । অমঙ্গলের ক্ষয়, মঙ্গলের জয় । বিশ্বনিয়ন্তার এই অভিপ্রায়, বিশ্বপ্রণালীর এই রহস্য, বিশ্বস্বষ্টির এই উদ্দেশু । ঠিক কথা, দুঃখের পর মুখ এবং দুঃখ হইতেই সুখ । কিন্তু তাহ হইলে দুঃখের অস্তিত্ব মিথ্যা নহে । অমঙ্গল হইতে মঙ্গলের উৎপত্তি, কিন্তু তাহ হইলে অমঙ্গল অস্তিত্বহীন নহে । বিধাতার বিধানই এইরূপ । কিন্তু হায়, বিধান কি অন্ত রূপ হইলে চলিত না ? মঙ্গল হইতে মঙ্গলের উৎপাদন কি বিশ্বাবধাতারও অসাধ ছিল ? উন্নতির জগু, অভিব্যক্তির জন্ত, মৃত্যুর পথ বিধাতা নির্দিষ্ট করিয়াছেন ; মৃত্যুর পথের পরিবৰ্ত্তে জীবনের পথ নির্দেশ করিলে কি বিধাতার উদ্দেশু সিদ্ধিলাভ করিত না ? উন্নতির পথ কণ্টকাকীর্ণ না করিলে কি তাহার করুণাময়ত্বে ব্যাঘাত পড়িত ? জীবের শোণিতপাত ভিন্ন কি জীবের উদ্ভবের অন্ত উপায় অনন্ত বুদ্ধিও আবিষ্কারে সমর্থ হয় নাই ? এক বল, ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ; তাহা হইলে তিনি দয়াময় নহেন। অথবা বল, তিনি দয়াময় ; তাহ হইলে তিনি পূর্ণশক্তি নহেন । এইরূপ স্থলে আর একটা মাত্র উত্তর আছে। মনুষের বুদ্ধি দিগ্বিজয়ী। ইহার অনধিগম্য দেশ নাই, ইহার অসাধ্য কাজ নাই। ইঙ্গিতমাত্রে
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।