পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bペ জিজ্ঞাসা ছাড়িয়া ও দুঃখ চাড়িয় তাহার অস্তিত্ব নাই। আমাদের নিকট আঁধার ছাড়িয়া আলো নাই, শাদ ছাড়িয়া কাল নাই, দুঃখ ছাড়িয়া মুখ নাই । জগৎ হইতে যদি আঁধারের বিলোপসাধন করিতে যাই, সঙ্গে সঙ্গে আলোকের বিলোপসাধন ঘটিয়া যাইবে । দুঃখকে যদি নিৰ্ব্বাসিত করিতে যাক্ট, স্বথ ০ সঙ্গে সঙ্গে নিৰ্ব্বাসিত হইয়া যাইবে । আঁধার ০ আঁধার ০ আঁধার—নিরবচ্ছিন্ন নিরপেক্ষ আঁধার কেমন তাহা বুঝিতে পারি না । আবার আলোক আর আলোক আর আলোক—নিরবচ্ছিন্ন নিরপেক্ষ আলোক কেমন, তাকাও আমাদের কল্পনার অনধিগম্য | আলোকের পাশ্বে আমরা আঁধার দেখিতে পাই, আঁধার আছে বলিয়াই আমরা আলোকের স্মস্তিত্ব প্রত্যয় করি। অমঙ্গলকে লোপ কর, মঙ্গলকে আটকাঠয়া রাখা অসাধ্য হইলে ; মঙ্গল সঙ্গে সঙ্গে লোপ পাইবে । অমঙ্গলের পাশ্বে আছে বলিয়াই মঙ্গলের মঙ্গলত্ব, নতুবা মঙ্গল অস্তিত্বহীন তাপশুষ্ঠ বাতুলের পলাপ । - কবিকল্পিত অলকাপুরে নিত্য সসন্তু পিরাজ করিয়া থাকে । সেখানে মলয় পবন নিরস্তব প্রবাহিত হয়, রজনী নিরস্তুর জ্যোৎস্নাময়ী, সেখানে ীেবন ভিন্ন জরা নাই, মরণের দ্বার সেখানে রুদ্ধ। সেখানে বিরহ নাই, মিলনের আনন্দ সেখানে সৰ্ব্বদা বিদ্যমান । কবির কল্পনা এই দেশের স্বষ্টি করিতে সমর্থ বটে, কিন্তু কল্পনার বাহিরে সত্যের র"ঙ্গ্য, ইহার অস্তিত্ব নাই । এই নিত্য বসস্তে ওঁ নিতা জ্যোৎস্নায় কৰি কল্পনা নিত্য মুখের অস্তিত্ব দেখিতে পায় ; কিন্তু সুস্থ মনুষোর স্বাভাবিক কল্পনা এই নিত্য জ্যোৎস্না ও নিত্য বসন্তে মুখ দেখিতে সৰ্ব্বতোভাবে অক্ষম। অথবা এঈ প্রাকৃত স্বভাবরাজ্যে জ্যোৎস্নার ও বসন্তের ও আরামের ০ মিলনের নিতান্ত অসম্ভাবের উপলব্ধি করিয়াই বোধ করে কবিকল্পনা এই অতিপ্রাকৃত মুখাবতীর নিৰ্ম্মাণে সমর্থ হইয়াছে। অন্ধকারের পাশ্বেই জ্যোৎস্না সম্ভব । বিরহদুঃখের পরেই মিলনসুখ উপভোগ্য। যে