পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমঙ্গলের স্বষ্টি >bハ○ বিরহের দুঃখ ভোগ করে নাই, সে মিলনের সুখ আস্বাদনে অধিকারী নহে যে মরণের সম্মুখীন হয় নাই, সে জীবনে মমত্বহীন। অমঙ্গলকে জগৎ সংসার হইতে হাসিয়া উড়াইয়া দিৰfর চেষ্টা করিও না, তাহ হইলে মঙ্গল সমেত উড়িয়া যাইবে । মঙ্গলকে যে ভাবে গ্রহণ করিয়াছ, অমঙ্গলকে সেই ভাবে গ্রহণ কর । অমঙ্গলের উপস্থিতি দেখিয়া ভীত হষ্টতে পার, কিন্তু বিস্মিত হুইবার কারণ নাই । অমঙ্গলের উৎপত্তির অনুসন্ধান করিতে গিয়া অকূলে হাবু ডুবু খাইবার দরকার নাই। যে দিন জগতে মঙ্গলের আবির্ভুবি হইয়াছে, সেই দিনই অমঙ্গলের যুগপৎ উদ্ভব হইয়াছে । একই দিনে একই ক্ষণে একই উদ্দেশু সাধনের নিমিত্ত উভয়ের উৎপত্তি এককে ছাড়িয়া অন্তের অস্তিত্ব নাই, এককে ছাড়িয়া অন্তের অর্থ নাই । যেখান হইতে মঙ্গল, ঠিক সেইখান হষ্টতে অমঙ্গল । সুখ ছাড়িয়া দুঃখ নাই, দুঃখ ছাড়িয়া সুখ নাই । একই প্রস্রবণে, একই নিঝ রধারাতে উভয় স্রোতস্বতী জন্মলাভ করিয়াছে ; এক ই সাগরে উভয়ে গিয়া মিশিয়াছে । উভয়ই বা কেন বলিব ? একই স্রোতস্বতী একই নিঝর হইতে বাহির হইয়াছে। এ পার হইতে বলি মুথ, ও পারে দাড়াইয়। বলি দুঃখ । দক্ষিণ পারে মুখ, বাম পারে দুঃথ । দক্ষিণে মঙ্গল, বামে অমঙ্গল । দক্ষিণ ছাড়া বাম নাই, বাম ছাড়িয়া দক্ষিণ নাই । যেখানে এপার নাই, সেখানে ওপারও নাই । সেখানে স্রোতস্বতীও চক্ষুর অগোচর । জগতের ইতিহাসে অমঙ্গলের উৎপত্তির তারিখ নির্দেশ মহাসমস্ত ; কিন্তু সেই তারিখে তাহার সহচর মঙ্গলেরও উৎপত্তি। যদি এককে পরিহার করিতে চাও, তবে অন্তের আশা ত্যাগ করিতে হইবে । মঙ্গলের অভিমুখে ধাবিত হইতে চাহিতেছ, অমঙ্গল তোমাকে ছাড়িবে না । জগতের নিয়ম এই ; অথব জগতের অস্তিত্ব এই নিয়মের স্থত্রে ধৃত রহিয়াছে ।