পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমঙ্গলের সৃষ্টি Xbo®: ছাড়িয়া মঙ্গলামঙ্গলের অর্থ নাই ও অস্তিত্ব নাই । জীবনের সহিত আবার চৈতনার সম্বন্ধ । তঃ জীবনের অভিব্যক্তি সহকারে চেতনার ঘূর্তি। চেতনা মঙ্গল বুঝে, অমঙ্গলের পাশ্ব মঙ্গলকে বুঝে, মুখ দুঃখে পার্থক্য স্বষ্টি করে । অমঙ্গলের জন্মস্থান কোথায়--জিজ্ঞাসা করিতে চাহ ; মঙ্গলের জন্মস্থান অনুসন্ধান কর। অমঙ্গল কেন ? ঈশ্নর উত্তরে বলিব মঙ্গলষ্ট বা কেন ? এক প্রশ্নের উত্তর মিলিলেই অন্তের০ টম্বর মিলিবে। অথবা পূৰ্ব্বে চেতনার উৎপত্তি কথা, আহার অনুসন্ধান কর ; চেতনার উৎপত্তি কেন, তাহার উরর দা চেতনা কি ? না, সুখে ও দুঃখে পার্থক্যবোধই চেতন ! যেখানে সুখে এ দুঃখে পার্থক্য বোধ নাই, সেখানে চেতনাও ফুটে নাই । আবার যাহাতে সুখ, তাই মঙ্গল, ঘাহাতে দুঃখ, তাহার্চ অমঙ্গল । কাজেই যেদিন চেতনার সৃষ্টি, সেই দিন ই অমঙ্গলের সৃষ্টি । জগতে অমঙ্গল আরওঁমান, জগতে দুঃথ অবর্তমান, চেতন জীব কেবল একই শান্তি, একই সারাম, একই আনন্দ উপভোগে নিরন্ত রহিয়াড়ে,-ইহ চিন্তার অগোচর, ইহা অলীক কল্পনা ! অতএব এস বন্ধু, অকারণ আত্মপ্রবঞ্চনার প্রয়োজন নাই , অমঙ্গলের অপলাপ করিও না, অমঙ্গলকে সম্মুখে দেখিয়াও উড়াইয়া দিবার চেষ্টা পাইও না । সত্যের আশ্রয় কুর, মিথ্যাবাদ বর্জন কর । অমঙ্গলকে মানিয়া ল ৪, অমঙ্গল তোমার সহচর, তোমার চেতনার সহচর, তুমি ছাড়িতে চাহিলেও সে তোমাকে ছাড়িবে না। যতদিন তোমার জাগ্রদবস্থা, भर्शत ও অমঙ্গল সমান ভাবে তোমাকে জড়ইয় গকিবে । বলুন তোমাং জাগ্রাবস্থ ৰ্বি পাবে, ততদিন মঙ্গলের সঙ্গে অমঙ্গল ও নিত্য নিত্য ফুটিয়া উঠিবে। যখন অমঙ্গলের তিরোধ’ন হইবে, তখন মঙ্গলেরও তিরোধান হুইবে ; তোমার জাগরণ