জগতের অস্তিত্ব Yo Y করিয়াও এত অবকাশ অবশিষ্ট থাকে যে, জঠরজালারূপ তীব্রানুভব জোগতিক ব্যাপার বর্তমান সত্ত্বেও "তাহারা জগতের অস্তিত্বটা একবারে লোপ করিতে বসেন । প্রচলিত হায়শাস্ত্রের পন্থা এতই বিভিন্নমুখ যে, সেই মার্গ ধরিয়া একটা স্থির মীমাংসায় উপস্থিত হওয়া এক রকম দুঃসাধ্য ব্যাপার। এক সম্প্রদায়ের মতে জগতের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ সত্য ; অন্ত সম্প্রদায়ের মতে ইহা একবারে কাল্পনিক । প্রচলিত বিচারপ্রণালী উভয়বিধ সিদ্ধান্তেই নিরীহ মানুষকে টানিয়া লইয়া যায় । এরূপ ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যবিধান, বড় ভরসার স্থল নহে । বোধ করি, সেই জন্যই নিরাশ মনে লাঠির যুক্তি অবলম্বন করিতে হয় । যদি জগৎ থাকে, তবে উহার স্বরূপ কি, এ প্রশ্নও সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া পড়ে । বলা বাহুল্য, এ কথাটার ও আজ পর্য্যন্ত মীমাংসা হয় নাই । জগতের স্বরূপ নিৰ্দ্ধারণ করিতে গিয়া আত্মা, জড়, শক্তি, গতি, বল প্রভৃতি পারিভাষিক শব্দের এমনি একটা স্ত,প আসিয়া দৃষ্টি রোধ করে যে, মানুষকে পথহারা ও আত্মহারা হইতে হয় । কেহ বলেন জগৎ এক, কেহ বলেন দুই । অপরে সংখ্যার এতাদৃশ স্বল্পতায় সন্তুষ্ট নহেন। কেহ বলেন জগৎ অনাদি, নিত্য ; কেহ বলেন সাদি, স্বল্প । কাহারও মতে জগতের অস্তিত্ব আমার মনের সহব্যাপী । আমি যত দিন, জগৎও তত দিন । আবার অন্যের মতে অতীত ও ভবিষ্যৎ এই দুইটা কথার কথা । অতীত বর্তমানকে নিয়মিত করে ; বর্তমান ভবিষ্যতের মুখ চাহিয়া চলে ; অতএব তিনই যুগপৎ বর্তমান । দুই বৎসর হইল ব্রিটিশ এসোশিয়েশনেৰ সমুখে অধ্যাপক লজ, এইরূপ একটা আজগুবি কথার প্রবর্তন করেন । কেহ বলেন জগতের স্রোত একটানে নিরবচ্ছেদে বহিয়া আসিতেঃছ ; আবার কাহারও মতে সেই স্রোত একটা নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিক একটানা প্রবাহ নহে। জোনাকি পোকার আলোকের মত, মনুষ্য হৃদয়ের স্পন্দনের মত, সেই স্রোত এই আছে,
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।