১৯২ জিজ্ঞাসা & কোন নুতন ধরণের সামুদ্রিক জীব যদি মাঝে মাঝে জাহাজের নিকট ভাসিয়া উঠে, তাহাতে কোন প্রাকৃতিক নিয়মের ভঙ্গ হয় কি ? তবে মাঝে মাঝে যদি কোন নুতন ধরণের জীব তাহার ঠথরীয় ছায়াময় শরীর লইয়া আসিয়া দেখা দেয় বা ভয় দেখায়, বা নাকি সুরে কথা কয়, তাহাতেই বা প্রাকৃতিক নিয়মের ভঙ্গ হুইবে কোথায় ? কখনই না । প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে, অতএব অসম্ভব,—এটা কোন কাজের কথাই নয়। প্রকৃতির নিয়ম কি তাহাই যখন পুরা সাহসে বলিতে পারি না, তখন ঐ উক্তি হঠোক্তিমাত্র। প্রকৃতির এক দেশের সহিত আমার পরিচয় লেনদেন কারবার রহিয়াছে ; কিন্তু সেই পরিচিত প্রদেশের বাহির হইতে যদি কোন নুতন ঘটনা অকস্মাং ইন্দ্রিয়গোচর হয়, তাহাকে প্রাকৃতিক নিয়মবিরুদ্ধ বলিবার কাহারও অধিকার নাই। তবে কি আজ হইতে ভূত মানিব ? বাইবেলের যত অদ্ভূত গল্পে বিশ্বাস করিব ?
- হার উত্তর হক্সলি স্পষ্টভাবে দিয়াছেন ; জগতে একবারে অসম্ভব কিছুষ্ট নাই, স্বৰ্য্যের গতিরোধ হতে ভূতের উৎপাত পর্য্যন্ত কিছুষ্ঠ অসম্ভব বলতে পারা যায় না । তেমনি গুলিথোরের সভায় যত গল্পের সৃষ্টি হয়, তাহার ও কোনটা ও হয়ত অসম্ভব নহে । তথাপি এই ক্ষেত্রে আমরা ঐ সকল গল্পে বিশ্বাস করা আবশু্যক বিবেচনা করি
না । ঘটনা সম্ভব হঠলেই সত্য হয় না । সত্যতার প্রমাণ আবশু্যক হয় ; বাইবেলের গল্পের যদি যথোচিত প্রমাণ থাকে, তাহার যাথার্থে বিশ্বাস করিতে প্রস্তুত আছি । প্রমাণ কিন্তু যথোচিত হওয়া আবশুক ; ঐ যথোচিত কথাটাতেই যত গোল । সৰ্ব্বসাধারণে যে প্রমাণে সন্তুষ্ট থাকেন, বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতেরা তাহাতে সন্তুষ্ট থাকেন না । বৈজ্ঞানিকদের মধ্যেও মতভেদ ঘটে । কতটুকু প্রমাণ ইষ্টলে সত্যতায় বিশ্বাস করা যাইবে, এ বিষয়ে দ্যায়