পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* অতিপ্রাকৃত )నVD শাস্ত্র ੋ ইন্দ্রিয়কে বিশ্বাস করিবার যে নাই। চোখে ভুল দেখে । কাণে ভুল শোনে বুদ্ধি বিকৃত হয়। সৰ্ব্বাপেক্ষা মনুষ্যচরিত্র দুৰ্ব্বোধ। কাহার মনে কি আছে, বলা অসাধ্য। নিজের উপরেই যখন সৰ্ব্বদা বিশ্বাস চলে না, তখন সাক্ষীর কথায়—তিনি যত বড় সাক্ষীই হউন,—সাক্ষীর কথায় নির্ভর করিলে ঠকিতে হইবে, ইহাতে বিস্ময় কি ? মোটের উপর কথা এই, কতটুকু প্রমাণের উপর নির্ভর করা চলিতে পারে, এবিষয়ে ব্যক্তিভেদে আদর্শভেদ রহিয়াস্তুে । সকলের আদশ সমান নহে ; সমান ইবারও উপায় নাই। কাজেই যে কথায় তুমি অবলীলাক্রমে বিশ্বাস কর, আমি তাহাতে আদে আস্থা করি না । পরম্পর গালি গালাজ করিয়া শান্তিভঙ্গ করি। ফল কিছু হয় না। বৈজ্ঞানিকদের বিরুদ্ধে ওপক্ষের একটা অভিযোগ আছে। র্তাহার বলেন, প্রমাণ আমরা দিতে প্রস্তুত ; কিন্তু তোমরা ধীরভাবে প্রমাণ গ্রহণ করিতেই অসম্মত ; তোমরা গোড়াতেই আমাদিগকে মিথ্যাবাদী প্রতারক বা অন্ধ প্রতারিত বলিয়া ধ্রুব জানিয়া রাখিয়াছ । আমাদের প্রমাণ না দেখিয়াই, ন জানিয়াই, তোমরা রায় দিতেছ, এটা নিতান্ত অশাস্ত্রীয় বিচার । বৈজ্ঞানিকের পক্ষে সাফাই এই যে আমরা বার বার প্রমাণ শুনিয়া ও সাক্ষ্য শুনিয়া এত বিরক্ত হইয়াছি, যে আর ও মিছা অভিনয় ভাল লাগে না । আমাদের অনেক কাজ আছে ; আর পুনঃ পুনঃ সময় নষ্ট করিয়া ঠকিতে প্রস্তুত নহি । সাফাই নিতান্ত ফেলিবার নহে। এতবার বৈজ্ঞানিকদিগকে ঠকিতে হইয়াছে, যে তাহার। পুনরায় ঠকিতে কুষ্ঠিত হইলে তাহাদিগকে দোষ দেওয়া উচিত হয় না। তবে তাহার প্রতিপক্ষকে একবারে না চটাইয়া এইরূপ জবাব দিলেই বোধ করি সঙ্গত হয় । বন্ধু, মনুষ্যের ক্ষমতা