পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতীত্যসমুৎপাদ ২৩৭ মীমাংস৷ সৰ্ব্বত্র দুলভ । জরামরণের মূল অবিদ্যা । অবিদ্যা হইতে ংস্কারের উৎপত্তি ; সংস্কার হইতে বিজ্ঞান, বিজ্ঞান হইতে নামরূপ, তাহা হইতে যড়ায়তন, ইত্যাদি ক্রমে শেষ পর্য্যস্ত জরামরণ উৎপন্ন । শিকলের একপ্রাস্তে অবিদ্যা, অন্ত প্রাস্তে জরামরণ ; মধ্যস্থলে অন্ত অন্ত নিদান । এখন এই স্বত্র বা শৃঙ্খল ধরিয়া এক প্রান্ত হইতে অন্ত প্রান্তে অগ্রসর হইতে হইবে । আচার্য্যেরা ও পণ্ডিতেরা কিরূপে অগ্রসর হয়েন, দেখা যাউক । - কোন কোন আচার্য্যের মতে নিদানশৃঙ্খলা মনুষ্য জীবনের ধারবাহিক ইতিহাস মাত্র । - মাতৃগর্ভে ভ্রশমধ্যে মনুষ্যজীবনের আরম্ভ। তখন সে সম্পূর্ণ অবিদ্যtছন্ন বা অজ্ঞানাবৃত থাকে । ক্রমশঃ তাহাতে স্পর্শ বেদনাদি সংস্কারের উৎপত্তি হয়। মাতৃগর্ভে বৃদ্ধির সহিত নানাবিধ চিত্ত বৃত্তি ধীরে ধীরে ক্রমশঃ ফুটিয়া উঠে । সকল চিত্তবৃত্তিই ক্রমে ফুটিয়া উঠে, কিন্তু বিজ্ঞানের অভাবে ভ্রণ তােহা জানিতে পারে না বা বুঝতে পারে না। ক্রমে সংস্কারগুলি কতক পরিস্ফুট হইয়া আসিলে বিজ্ঞানের সঞ্চার হয় ; অর্থাৎ পুৰ্ব্বে সুখ দুঃখ স্পর্শ বেদন ছিল, শঙ্কা চেষ্টা প্রবৃত্তি প্রভৃতিও হয় ত বৰ্ত্তমান ছিল, কিন্তু ভ্রণ যেন বিজ্ঞানের অভাবে তাহা জানিয়াও জানিত না, এখন বিজ্ঞানের উদয়ে ঐ সকল কতকট। স্পষ্ট অনুভব করিতে পারে। ইহার মধ্যে কোন সময়ে ভ্রণ মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হইয়াছে, মনে করা যাইতে পারে। তখন তাহার নামরূপের বিকাশ হয়, অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ শিশু তাহার অন্তঃশরীরকে ও জড়শরীরকে স্বতন্ত্রভাবে দেখিতে পায় । তখন যড়ায়তন অর্থাৎ ইন্দিয়াদির কার্য্য আরম্ভ হয় । তার পর সেই ইন্দ্রিয়গণের বাহ জগতের সহিত ‘ম্পৰ্শ ঘটে, বাহ জগতের সহিত তাছাদের আদান প্রদান আরম্ভ হয় । জ্ঞানেন্দ্রিয়গণ বাহা জগতের