পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎽᏬ জিজ্ঞাসা উৎকট পরিশ্রমে যে সৌধখানি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, কোথায় তাহ ভাঙিয়া যাইবে, সেই ভয়ে কতকটা ব্যাকুল হন । সেই সৌধের কোন প্রকোষ্ঠমধ্যে এই নুতন জিনিষটাকে স্থান দিতে না পারায় তাহার সামঞ্জস্তবুদ্ধিতে, তাহার সৌন্দৰ্য্যবুদ্ধিতে আঘাত লাগে। এই নুতন জিনিষটাকে কতকটা সংশয়ের, কতকটা ভয়ের চোখে দেখেন, এবং যদি কোনরূপে উহার অলীকতা প্রতিপন্ন করিতে পারেন, তাহ হইলে যেন হাফ ছাড়িবার অবসর পান । র্তাহার অবস্থা বুঝিয়া তাহাকে মার্জন ಇಷ್ಟ! যাইতে পারে । " ২. বস্তুতঃ এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিকে ও অবৈজ্ঞানিকে যে জাতিগত ভেদ আছে জাহ নহে। বৈজ্ঞানিক মানুষ ও সাধারণ মানুষ বস্তুতই এক শ্রেণীর মানুষ ; জগদর্যন্ত্র যদি একেবারে এলোমেলো, শৃঙ্খলারহিত, একটা গণ্ডগোলমাত্র হইত, তাহা হইলে সাধারণ মানুষের ও জীবনযাত্র স্বকর ই ইত না । জগৎযন্ত্রে বেশ একটা শৃঙ্খলা আছে, সেই জন্তই মনুষ্যমাত্রের জীবনধারণ সম্ভব হইয়াছে। ভাত খাইলে ক্ষুধ নিবৃত্তি হয় ; হঠাৎ যদি এই নিয়মটা বদলাইয়া যায়, এবং যত খাযে, তত ক্ষুধু বাড়িবে, এইরূপষ্ট যদি নুতন বন্দোবস্ত উপস্থিত হয়, তাহ হইলে মনুষ্যের বুদ্ধি দুর্ভিক্ষনিবারণের উপায়নিৰ্দ্ধারণে একবারে অসমর্থ হইয় পড়ে। অতিপ্রাকৃতের প্রতি বা মাকলের প্রতি যাহার দ্বত ভক্তি থাক, জগদ্যন্ত্রে যদি কোনরূপ শৃঙ্খলা না থাকিত, তা হইলে কাহাকেও ধরাপৃষ্ঠে বিচরণ করিতে হইত না । কাজেই কতকটা সামঞ্জস্য ও কতকটা শৃঙ্খল মনুষ্যমাত্রের পক্ষেই প্রতিকর না হইলে চলে না। সামঞ্জস্তর প্রতি, শৃঙ্খলার প্রতি, মহুষ্যমাত্রেরই কতকটা আন্তরিক অনুরাগ রহিয়াছে। রহিয়াছে বলিয়াই মানুষ পশুর উপরে ; রহিয়াচে বলিয়াই সভা মানুষ অসভ্য মানুষের উপরে । মনুষ্যমত্ৰেই নুনাধিকমাত্রায় বৈজ্ঞানিক ।