অতিপ্রাকৃত ృన8 নুনাধিক মাত্রায় ; কেন না, সামঞ্জস্তে প্রীতি সকলের পক্ষে সমান নছে ; সকলের জগৎ ঠিক্ সমান মাত্রায় সমঞ্জস নহে। ব্যবহারিক হিসাব ছাড়িয়া একটু পরমার্থের হিসাবে দেখিলে বুঝিতে হয়, আমরা আপন আপন জগৎকে আপনার মত করিয়া গড়িয়া লইয়াছি । প্রত্যক্ষ জগৎকে কতকগুলি প্রত্যয়ের সমষ্টি ভিন্ন আর কিছু বলিতে পারা যায় না । বস্তুতই বলা চলে না । এই প্রত্যয়গুলি মানসিক পদার্থ ; প্রত্যেক বক্তি উহাদিগকে নানাভাবে সাজাষ্টয়া আপন আপন জগৎ নিৰ্ম্মাণ করিয়া লয় । সকলের প্রত্যয় ঠিক সমান নহে, সেই জন্য সকলের জগৎ ঠিক এক রকম নহে ; প্রায় এক রকম; কিন্তু ঠিক এক রকম নহে । - দর্শনশাস্ত্র হইতে জাগরণ, স্বপ্ন ও স্বযুক্তি এই তিনটা শব্দ গ্রহণ করিলে বুঝাইবার কতকটা সুবিধা হইতে পারে। প্রত্যেক ব্যক্তির চেতনার তিন অবস্থা ; জাগরণের, স্বপ্নের ও স্বযুপ্তির অবস্থ,–জাগরণের অবস্থায় জগৎ সুশৃঙ্খল, সুবিন্যস্ত, সমঞ্জস ; স্বপ্লাবস্থায় জগৎ শৃঙ্খলাশূন্ত, অসমঞ্জস, এলোমেলো ;—তবে যতক্ষণ স্বপ্লাবস্থা থাকে, ততক্ষণ উহা সুশৃঙ্খল বলিয়াই বোধ হয়। আর হুমুপ্তির অবস্থায় জগৎ প্রায় নাস্তিত্বে লীন হইয়া যায়। অবস্থা এই তিনটা, কিন্তু চেতনা যুগপৎ এই তিন অবস্থাকেই আশ্রয় করিয়া থাকে ; চেতন পূর্ণ জাগ্রত, বা পূর্ণ স্বপ্লাবস্থ, বা পূর্ণ স্বযুপ্ত কোন সময়ে থাকে কি না, তাহ৷ সন্দেহের বিষয় । জাগরণে স্বপ্নে ও মুঘুপ্তিতে মিলাইয়। মিশাইয়। চেতনার প্রকাশ জাগরণের সঙ্গে সঙ্গে চেতনার কিমৃদংশ স্বপ্ন দেখে, ও কিয়দংশ স্বপ্নহীন ঘুমে নিমগ্ন থাকে। আজ কাল sublimina। self a subliminal consciousness Rico go oil on to প্রেততাত্ত্বিকের ঐ শব্দের বহুল ব্যবহার করেন, এবং উহার দ্বারা নানাবিধ মানসিক বিকারাবস্থার ব্যাখ্যা করেন। ঐ শব্দের অর্থ এইরূপে
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।