পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৮ জিজ্ঞাসা বুঝান যাইতে পারে। মানুষের চেতনার একটামাত্র প্রকোষ্ঠ পূর্ণ চেতন বা পূর্ণ জাগ্রত; যাহা সেই প্রকোষ্ঠের অন্তৰ্ব্বত্তা, তাহাই আমাদের স্পষ্ট প্রত্যক্ষ । সেই প্রকোষ্ঠের দ্বার দিয়া প্রত্যয়গুলি যাতায়াত কfরতেছে ; যতক্ষণ উহ। সেই দ্বারের বাহিরে থাকে, ততক্ষণ উহা প্রত্যক্ষ হয় না ; ততক্ষণ উহা subliminal থাকে, ততক্ষণ উহা জ্ঞানের বিষয় হয় না । সেই সবলিমিনাল অবস্থাকে আমরা সুপ্ত অবস্থা বলিতে পারি, এবং যাহা প্রকোষ্ঠের ভিতরে আসিয়াছে, যাহা জ্ঞানের বিষয়, যাহা স্পষ্ট প্রত্যক্ষ, মায়াস সাহেব যাহাকে supraliminal বলেন, তাহাকে জাগ্রদবস্থা বলিতে পারি। সুপ্ত অবস্থার যে সকল প্রত্যয় জাগ্রত চেতনার প্রকোষ্ঠের দ্বারে আসিয়া উকিঝুকি মারে, কখন ক্ষণেকের মত দ্বারের ভিতর প্রবেশ করিয়া আবার তখনই পলাইয়া যায়, তাহাদিগকে স্বপ্নাবস্থ মনে করিতে পারি। মানুষের ঘুমন্ত অবস্থায় বা মন্ত্ৰমুগ্ধ অবস্থায়, ইংরাজিতে যাহাকে হিপনটিক অবস্থা বলে সেই অবস্থায়, এবং ওষধিমুগ্ধ অবস্থায় অর্থাৎ নেশার অবস্থায়, এই আকস্মিক আগন্তুক অপরিচিত বা অল্পপরিচিত প্রত্যয়গুলি আসিয়া উকি মারে । তখন উহাদিগকে আমরা দেখি ; কিন্তু জাগ্রদবস্থার পরিচিত পূর্বপ্রকাশ প্রত্যয়গুলির সহিত উহাদের সামঞ্জস্ত রাখিতে পারি না । পেততাত্ত্বিকের ভাষায় আমাদের পূর্ণ জাগ্রদবস্থাতেও এই সবলি মনাল বা প্রকোষ্ঠের বহিঃস্থ চেতন কাজ করে ও মাঝে মাঝে দেখা দেয়। আমরা দেখিয়া বিস্মিত হই বা স্তস্তিত হই এবং তাহাদের সহিত পুর সাহসে কারবার চালাইতে সাহস করি না ; তাহাদিগকে জীবনের কাজে লাগাইতে সাহস করি না । তাহাদের সহিত কিরূপ ব্যবহার করিতে হইবে, তাহ ঠিক বুঝি না ; কাজেই আশঙ্কা ও আতঙ্কের সহিত তাহাদিগকে গ্রহণ করি বা প্রত্যাখ্যান করতে উদ্যত হই। ব্যাখ্যার ভাষাটা যাহাই হউক, কিন্তু কথাটা বোধ হয় ঠিক্‌ ! আমা