>ミ জিজ্ঞাসা এই নাই, এই আছে, এই নাই, এইরূপ করিয়া ক্ষণিক অস্তিত্ব ও ক্ষণিক নাস্তিত্বের পরম্পরামতে বহিয়া যাইতেছে। বায়োস্কোপের ছবি যেমন দ্রুতগতি পর পর বদলাইয়া যায়, দুইখানা ছবির মাঝের ব্যবধানটুকু বুঝা যায় না ; তেমনি জগতের দৃশ্যপট এত দ্রুতগতিতে ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হইতেছে যে, দৃষ্টি-ভ্রান্ত মানুষ মাঝের নাস্তিত্বের ব্যবধানটুকু টের পাইতেছে না। যাহাই হউক, এই সকল পরস্পরবিরোধী মতের মূলে জগতের অস্তিত্ব অস্বীকৃত হয় নাই ; সুতরাং অস্তিত্বের বিচারে ইহাদিগকে টানিয়া আনার দরকার নাই । জগৎকে বিশ্লেষণ করিলে মোটামুটি দুইটা অংশ পাওয়া যায় । প্রথম আমি, ও দ্বিতীয় আমা-ছাড়া, অর্থাৎ আমার বাহিরে আর যা কিছু আছে । “আমি” শব্দের অর্থ এস্থলে ঠিক সেই হস্ত-পদ-যুক্ত শরীরী জীব নহে, যাহার উপভোগের নিমিত্ত এই বিশাল দৃশুমান ব্ৰহ্মাও বৰ্ত্তমান । “আমি” শব্দের অর্থ এখানে আমার সেই ভাগ, যাহা অনুভব করে, চিন্তা করে, ইচ্ছা করে । অনুভূতি, চিন্তা, কামনা ইহাদের সমবায় ও পরম্পরাকে যদি চৈতন্ত্য বলা যায়, তবে আমি অর্থে আমার চৈতন্ত্যমাত্র । “আমা-ছাড়া” র অর্থ তামার চৈতন্ত্য বাদ দিয়া জগতের বাকী সমগ্রট, অর্থাৎ যাহা কিছু আমার অনুভূতির বিষয়, । আমার চিন্তার উদ্বোধক, আমার ইচ্ছার প্রয়োগক্ষেত্ৰ : এই অর্থে বাহিরের জড় জগৎ ব্যতীত তুমি ও তোমার চৈতন্ত এবং আমার ভৌতিক শরীর পর্য্যন্ত আমার বাহিরে । জগতের অস্তিত্ব বলিলে আমার " স্তত্ব ও আমার বহিঃস্থ এই জগতের অস্তিত্ব, এই দুই বুঝিতে হইবে । প্রথম, আমার অস্তিত্ব। এই বিষয়টাতে দুই মর্ত হইবার বড় উপায় নাই। কেন না, আমার অস্তিত্ব অস্বীকার করিলে, আর কিছুরই অস্তিত্ব থাকে না। তর্কের ভিত্তিমূল পৰ্য্যস্ত লুপ্ত হয়। যদি স্বতঃসিদ্ধ বলিয়া কোন সত্য বা সিদ্ধান্ত থাকে, আমার অস্তিত্ব সেই স্বতঃসিদ্ধ সত্য । ইহা
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।