অতিপ্রাকৃত సిసి দিগের চেতনায় সৰ্ব্বদা জাগরণ স্বপ্ন ও স্বযুপ্তি মিলিয়া যুগপৎ অবস্থান করিতেছে । তিনের তারতম্যানুসারে চেতনার অবস্থাভেদ ঘটে। আমরা যাহাকে পূর্ণ জাগরণ বলি, তাহ পূর্ণ জাগরণ নহে—তাহাতে স্বপ্নের অভাব নাই ; এবং সে সময়ে চেতনার কিয়দংশ যে নিদ্রিত নাই, তাহাও বলা যায় না। যাহা জাগরণে দেণি, তাহ সুশৃঙ্খল, যথাবিন্যস্ত ; যাহা স্বপ্নে দেখি—তাহা শৃঙ্খলাহীন, বিপৰ্য্যস্ত, তাহ জাগ্রদবস্থাদৃষ্ট পরিচিত প্রণালীর সহিত অসম্বদ্ধ। কিন্তু যাহা এইরূপ অসম্বদ্ধ ও অসংযত, তাহাকে সংযমের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ করাই চেতনার কাজ। অন্তত: তাহাতেই চেতনার অভিব্যক্তি। ইহা প্রেততান্ত্রিীরাও অস্বীকার করিবেন না । অস্বীকার করিলে তাহারা নরদেহমুক্ত প্রেতপুরুষের সহিত কারবারের জন্য এত উৎসুক হইতেন না । তাহাদের সঙ্গিত কথাবার্তার জন্ত, চিঠি চালাচলির জন্ত, এত বাগ্র হইতেন না । তাহদের ফটোগ্রাফ তুলিবার জন্য এত বাকুল হইতেন না। এইরূপ স্বপ্নকে জাগরণে লইয়া আসিবার জন্তই আমরা ব্যাকুল। স্বপ্নের জাগরণে পরিণতিতেই চেতনার স্ফূৰ্ত্তি ও সার্থকতা। প্রশ্ন উঠে, কেন এমন হয় ? জাগরণের অবস্থাতেই প্রত্যয়গুলি কেন এমন সংযত ও সুশৃঙ্খল, এবং স্বপ্নাবস্থাতেই বা কেন এমন অসংযত ? ব্যবহারিক হিসাবে ইহার উত্তর যে জগৎপ্ৰণালীর অন্ততঃ খানিকটা সংযত নিয়মবদ্ধ সমঞ্জস না হঠলে মানুষ ধরাধামে টিকিত না । নিম্নপর্যায়ের জীবে জগৎকে মানুষের মত মুনিয়ত দেখে না । মামুষ তাহ দেখে বলিয়াই মানুষ উচ্চ পর্য্যায়ের জীব ; মানুষ জীবনসংগ্রামে জয়ী। এবং যে মানুষ জগৎকে যত সুশৃঙ্খল, যত মুনিয়ত দেখে, সে তত জীবনসংগ্রামে যোগ্য, সে তত উন্নত । মনুষ্যের ইতিহাস সাক্ষী ; বিজ্ঞানের ইতিহাস তাহার সাক্ষী। স্বপ্ন জীবনসংগ্রামে অমুকূল নহে; তাহার সাক্ষী পাগল । সে কেবল স্বপ্ন দেখে—তাহার
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।