পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ ০ জিজ্ঞাসা জগতে শৃঙ্খলা নাই—সে জীবনসমরে অশক্ত । সেইজন্য বলিতে পারা যায়, প্রত্যেক মনুষ্য আপনার জীবনসংগ্রামে সুবিধার জন্য আপনার জগৎকে যথাসাধ্য আপন শক্তি অনুসারে নিয়মবদ্ধ, সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া গড়িয়া লইয়াছে , আপনার গঠিত জগতে, আপনার কল্পিত জগতে, নিয়মের প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। নিয়মের প্রতিষ্ঠা করিয়াছে বলিয়াই সে জাগ্ৰত ; নিয়মের প্রতিষ্ঠা করিয়াছে বলিয়াই যে জীবন ংগ্রামে সমর্থ। - - অনিয়মের প্রতি, বিশৃঙ্খলার প্রতি বৈজ্ঞানিকের বিষদৃষ্টির মূল এইখানে । অতিপ্রাকৃত লইয়া কোলাহলের মূলও এইখানে । ফলিত জ্যোতিষ পুরাতন কথার পুনরুক্তি সকল সময়ে প্রীতিকর হয় না ; অথচ পুনঃ পুনঃ না বলিলেও সম্যক্ ফল পাওয়া যায় না। ফলিত জ্যোতিষে বিশ্বাস করিব কি না, এই একটা পুরাতন কথা । উভয় পক্ষ হইতে যাহা কিছু বলিবার ছিল, তাহা বহুকাল নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে ; আর নূতন কিছু বলিবার আছে, তাহ খোঃ হয় না। অথচ এক পক্ষ অকস্মাৎ এরূপ বেগে অপর পক্ষকে আক্রমণ করেন, যে তখন তাড়াতাড়ি পুরাতম মরিচাধর অস্ত্রগুলি বাহির করিয়া কোন রূপে শাণ দিয়া ব্যবহারোপযোগী করিয়া লইয়া আত্মরক্ষায় প্রবৃত্ত হইতে হয়। অতি প্রাচীনকাল হইতে উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলিয়া আসিতেছে, মীমাংস এ পর্যন্ত হইল না ; অথচ আমার বোধ হয়, এক কথায় ইহার মীমাংসা হওয়া উচিত। একটা উত্তর দিলেই যেন গোলযোগ মিটয়া যাইতে পারে ।