পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফলিত জ্যোতিষ ఫిeరి সুতরাং এই ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র পৃথিবীরই সকল সংবাদ যখন অদ্যাপি জ্ঞানগোচর হইল না, পরস্তু নিত্য নুতন ঘটনা মনুষ্যের বিজ্ঞান শাস্ত্রকে এক একটা ধাক্কা দিয়া বিপর্য্যস্ত করিয়া ফেলিতেছে, তখন এত বড় বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কোথায় কি সম্ভব কি অসম্ভব, তাহার সম্বন্ধে বক্তৃতা করিতে যাওয়া বাতুলত ভিন্ন আর কি হইতে পারে ? তোমাদের বিজ্ঞানেই না কি বলে, ঐ স্বৰ্য্যটার আয়তন বারলক্ষ পৃথিবীর সমান ; ঐ নক্ষত্রট হইতে আলোক আসিতে বার বৎসর পোনের দিন অতিবাহিত হয়, সেই আলোক আবার সেকেণ্ডে লক্ষ ক্রোশ বেগে চলে, ইত্যাদি। এত বড় ব্রহ্মাণ্ডটার সম্বন্ধে এটা সম্ভব, ওঠা অসম্ভব, এরূপ চুড়ান্ত নিম্পত্তি বালকের পক্ষেই শোভা পায়, বিজ্ঞানবাদীদের পক্ষে নহে । অহো সকলি যথার্থ ; তথাপি তুরাত্মা আপনার জেদ ছড়িবে না । সে বলিবে সবই যথার্থ–সংসারে অসম্ভব কিছুই নাই। উল্কাবর্ষণে রাষ্ট্রবিপ্লব, যোগসিদ্ধিবলে আকাশবিহার ও মন্ত্রবলে পিশাচবশীকরণ, কিছুই অসম্ভব নহে। অমুক ঘটনাট মাধ্যাকর্ষণের নিয়মের প্রতিকূল, অমুক ঘটনাটা শক্তির নিয়মের প্রতিকূল ইত্যাদি বলিয়া অসম্ভাব্যতা প্রমাণ করিতে বস ঠিক নহে। এমন কি ত্রেতার মহাবীর গন্ধমাদন উলটাইয়াছিলেন, এবং কলির মহাবীরের টেবিল উলটাইয়া থাকেন, ইহাতেও অসম্ভব বলিয়া উপহাসের কথা কিছুই নাই । আমার বোধ হয় না, এ কালের কোন বৈজ্ঞানিকের এরূপ দুঃসাহস আছে যে, তিনি যুক্তিবলে ঐ সকল ঘটনার অসম্ভাব্যতা সপ্রমাণ করিতে পারেন । বস্তুতঃ বৈজ্ঞানিকের উপর এমন অনেক বিশ্বাস সচরাচর আরেপিত হয়, যাঙ্গ তাহার আদৌ নাই । লোকে বলে বৈজ্ঞানিক প্রাকৃতিক নিয়মের অব্যভিচারিতায় নিতান্ত বিশ্বাসী, অর্থাৎ, প্রাকৃতিক নিয়মের যে ব্যভি