ー&e 8 জিজ্ঞাসা চার, বা ব্যতিক্রম বা লজঘন হইতে পারে, ইহা তিনি বিশ্বাস করেন না । কিন্তু প্রকৃত কথা তাহা নহে। এ পর্য্যস্ত আমি একখানি খাটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ দেখিলাম না, যাহাতে সপ্রমাণ করা হইয়াছে, কঁঠাল ফল বৃত্তচু্যত হইলে ভূমিতে পড়িতে বাধ্য, অথবা স্বৰ্য্যদেব পৃথিবীকে চতুঃপাশ্বের্ণ ঘুরাইতে বাধ্য । বস্তুতঃ জগতে এরূপ কোন বাধ্যবাধকতা নাই ! এ পর্য্যন্ত কাঠাল ফল বৃত্তচু্যত হইলেই ভূমিতে পড়িয়া আসিতেছে, কাহারও ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে নাই ; তাহাই পদার্থবিদ্যাবিদের বলেন, কঁঠাল ফলের ঐরূপ স্বভাব, সে ভূমিতেই পড়ে, আকাশে উঠে না ; এতকাল তাহাই করিত, সম্ভবতঃ কাল পরশুও তাঁহাই করিবে । কিন্তু কাল হইতে যদি কঁঠাল ফল আর ভূমিতে পতন । অন্তায় ভাবিয়া আকাশে আরোহণই শ্রেয়স্কর বিবেচনা করে, সমগ্র বৈজ্ঞানিকমণ্ডলী নিতান্ত নিৰ্ব্বিকারচিত্তে আপন আপন গ্রন্থের মধ্যে ও বক্তৃতার মধ্যে তখন লিখিতে ও বলিতে থাকিবেন, কঁঠাল ফলের স্বভাবটা অমুক দিন হইতে পরিবর্তন হইয়াছে, এতকাল সে ভূমিতে পড়িত, এখন সে আকাশে উঠে । এবং কাঠালের দেখাদেখি অন্ত সকলেই যদি সেই পন্থা অবলম্বন করে, তাহা হইলে পদার্থবিদ্যাগ্রন্থগুলির ভবিষ্যৎ সংস্করণে দেখা যাইবে, পৃথিবী এখন আর সকল জিনিষকে আকর্ষণ না করিয়া দুরে ঠেলে । প্রকৃতির নিয়মটা যদি বদলাইয়া যায়, কেন দলাইল তাহা প্রকৃতি দেবীই বুলিতে পারেন ; বৈজ্ঞানিকের তজ্জন্ত থাব্যথার কোনই প্রয়োজন নাই, এবং প্রকৃতির নিকট তাহার কৈফিয়ত চাহিয়াও ফল নাই । ফলতঃ আম কঁঠালের ভুতলপাতে সৰ্ব্বসাধারণের যথেষ্ট স্বার্থ আছে, বিশেষতঃ ঐ ঐ পদার্থ যখন সুপক্ক অবস্থায় থাকে ; কিন্তু বৈজ্ঞানিকের তাহাতে বিশেষ স্বাৰ্থ কিছুই নাই। দলীলের ভিতর যাহাই থাকুক, রেজিষ্ট্রার বাবু তাহ রেজিষ্টার করিয়া যান, তাহার পারিশ্রমিক
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।