পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফলিত জ্যোতিষ * a dt লাভ ব্যতীত অন্ত উদ্বেগের কোন কারণই নাই ; বৈজ্ঞানিক সেই রূপে প্রাকৃতিক ঘটনাগুলিকে কেবল রেজিষ্টার করিয়া যান ; ঘটনাট এমন কেন হইল, তাহ! ভাবিয়া দেখা তাহার পক্ষে আবশ্যক নহে । অন্ততঃ এ পর্য্যস্ত এমন কোন বিজ্ঞানবিদের নাম গুনি নাই, যিনি কোন প্রাকৃতিক ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সমর্থ হইয়াছেন বা তজন্ত বিশেষ প্রয়াসের প্রয়োজন দেখিয়াছেন । তবে কোন একটা ঘটনার সংবাদ পাইলে সেই সংবাদটা প্রকৃত কি না এবং ঘটনাটা প্রকৃত কি না, তাছা রেজিষ্টারির পূৰ্ব্বে জানিবার অধিকার বিজ্ঞানবিদের যথেষ্ট আছে, এবং এই ਯੋਜ কার্য্যই বোধ করি তাহার সৰ্ব্বপ্রধান কার্য্য। প্রকৃত তথ্যের নির্ণয়ের জন্ত র্তাহাকে যথেষ্ট পরিশ্রম স্বীকার করিতে হয় । বরং তজ্জন্ত র্তাহার মস্তিষ্ক বিবিধ সংশয়ের উদ্ভাবন ও সেই সংশয় তাপনোদনের বিবিধ উপায় আবিস্কার করে । আমাদের মত অবৈজ্ঞানিকের সহিত বিজ্ঞানবিদের এইখানে তফাত । আমরা যত সহজে একটা ঘটনায় বিশ্বাস করিয়া লই, তিনি তত সহজে বিশ্বাস করিতে চাহেন না ; নানারূপ প্রমাণ অনুসন্ধান করেন। আমরা ভদ্রলোকের কথায় অবিশ্বাস নিতান্ত অসামাজিক কাজ ও অন্তায় কাজ বলিয়া স্থির করি, কিন্তু তাহার এই সামাজিকতার জ্ঞানটা অতান্ত অল্প । তিনি অতি সহজে অত্যন্ত ভদ্র ও সুশীল ও নিরীহ ব্যক্তিকেও বলিয়া বসেন, তোমার কথায় আমি বিশ্বাস করিলাম ন। । এইটাই বিজ্ঞানবিদের ভয়ানক দোষ ; তবে তাহার এই সংশয়পরতা কেবল অন্ত্যের প্রতিই নহে; তাহার নিজের প্রতিও তাহার সম্পূর্ণ বিশ্বাস নাই। তিনি সকল সময়ে আপনার ইন্ধিয়কে বিশ্বাস করেন না ও আপনার বুদ্ধকেও বিশ্বাস করেন না । কোথায় কোন ইন্দ্রিয় তাহাকে প্রতীরিত করিয়া ফেলিবে, কখন কবে পুর্ণ জাগ্রত অবস্থাতেও একটা স্বপ্ন দেখিয়া ফেলিবেন, এই ভয়েই তিনি সৰ্ব্বদ।