ফলিত জ্যোতিষ ২০৭ তিনি ੱਜੇ সঙ্গীত গায়’ ইত্যাদি প্রবচন স্মরণ করিয়া চুপ করিয়৷ থাকেন । কিন্তু ঘটনাটা মিথ্যা কি সত্য, তাহ অপর সাধারণের জানিবার কোনই অবকাশ ঘটে না । অমুক তারিখে বৃহস্পতি মকরে প্রবেশ করায় আমার বন্ধুগৃষ্ঠে নিমন্ত্রণ জুটিবে, এরূপ আশাতেও অনেকটা আনন্দ আছে, এবং কোন বৈজ্ঞানিক যখন ইহার অসম্ভাব্যতা যুক্তিবলে প্রমাণ করিতে পারেন ন, তখন অ কারণে সেই আশাভঙ্গ করিয়া আমার মনোভঙ্গের প্রত্যবায়গ্রহণে র্তাহার লাভ নাই । তবে আমার আশা সফল হইল কি না, এই ব্যাপারে তাহার বিশ্বাস জন্মাইতে হইলে শুধু ক্ষীমার বাক্যের উপর তাহা কে নির্ভর করিতে বল অনুচিত । তিনি যদি আমার বাকে বিশ্বাস না করেন, তাহা হইলে তাহাকে অসামাজিক অভদ্র ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করিতে পারি, কিন্তু তাহাকে নিৰ্ব্বোধ বা পাপিষ্ট বলিতে পারি না । তিনি যতটুকু প্রমাণ না পাইলে তৃপ্ত হইবেন না, অন্ততঃ সে প্রমাণটুকু তাহাকে দেখাইতে হইবে । বস্তুতঃ ফলিত জ্যোতিষে র্যাহারা অবিশ্বাসী, তাহাদিগের অবিশ্বাসের মূল এই । তাহারা যতটুকু প্রমাণ চান, ততটুকু তাহারা পান না । তার বদলে বিস্তর কুযুক্তি পান। চন্দ্রের আকর্ষণে জোয়ার হয়, অমাবস্তা পূর্ণিমায় বাতের ব্যথা বাড়ে, ইত্যাদি যুক্তি কুযুক্তি । কালকার ঝড়ে আমার বাগানে কঁঠালগাছ ভাঙিয়াছে, সুতরাং হরিচরণের কলেরা কেন না হইবে, এরূপ যুক্তির অবতারণায় বিশেষ লাভ নাই । গ্রহগুল কি অকারণে এ রাশি ও রাশি ছুটিয়া বেড়াইশেছে, যদি উহাদের গতির সহিত আমার নিমন্ত্রণপ্রাপ্তির কোন সম্বন্ধই না থাকিবে, এরূপ যুক্তিতেও কিছু আসে যায় না । নেপোলিয়নের কোষ্ঠীছাপানর পরিশ্রমও অনাবশুক । একটা ঘটনা গণনার সহিত মিলিলেই দুন্দুভি বাজাইব, আর যাহা না মিলিবে, তাহ চাপিয়া যাইব
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।