সৌন্দৰ্য-বুদ্ধি ২৯৯ দেখিয়া চলে। ইউটিলিটির বাঙ্গাল' অর্থ হিতকারিত, উপকারিতা, উপযোগিতা, কাজে লাগা। যাহা কিছু কাজে লাগে, যাহা জীবনের পক্ষে হিতকর, যাহা জীবনসংগ্রামে অমুকুল, কোন না কোনরূপে জীবনসংগ্রামে যাহা সাহায্য করে, প্রকৃতি তাগই নিৰ্ব্বাচিত করিয়া অভিব্যক্ত করেন। মানুষ দুই পায়ে ভর দিয়া দাড়াইতে পারে, মানুষের মাথায় একরাশি মস্তিষ্ক আছে, মানুষের হাত দুইখানা অন্ত্রনিৰ্ম্মাণের ও অস্ত্রব্যবহারের উপযোগী, মানুষ দল বাধিয়া বাস করে, মানুষ স্পষ্ট ভাষায় কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া পরস্পর মনোভাব জ্ঞাপন করে, এ সমস্তই মানুষের জীবনরক্ষার উপযোগী ও অমুকুল । অতএব প্রাক্কতিক নিৰ্ব্বাচনে এ সকল ধৰ্ম্মই মানুষ ক্রমশঃ প্রাপ্ত হইয়াছে । মামুষের গায়ের জোর কম, কাজেই বুদ্ধির জোরে সেটা পোষাইয়া লয় । কাজেই মামুষের বুদ্ধিমত্ত প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে উৎপন্ন । মানুষের গায়ের জোর কম, কাজেই তাহাকে দল বাধিয়া আত্মরক্ষা করিতে হয় ; কাজেই মানুষের সামাজিকত্ব ; পরের মুখ চাহিয়া ও ভবিষ্যতের মুখ চাহিয়া মানুষকে আত্মসংবরণ করিতে হয় ; বর্তমান আকাজ, বর্তমান লালস, বর্তমান প্রবৃত্তি প্রভৃতি দমনে রাখিতে হয় ; এই জন্ত মনুষ্য মধ্যে নীতিধৰ্ম্মের উদ্ভব । ইহাও প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের কাজ । কেন না, যাহা কিছু জীবনরক্ষায় সাহায্য করে, তাহাই প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের ফল । ব্যক্তিগত জীবনরক্ষা ব্যতীত জাতিগত জীবন রক্ষা বা বংশরক্ষা আছে ; বংশরক্ষার অনুকূল ধৰ্ম্মসকলও প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনেই অভিব্যক্ত হয় । এইরূপে যাবতীয় প্রধান মানবধৰ্ম্ম প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে উৎপন্ন স্বীকার করা যাইতে পারে। এমন এক দিন ছিল, যখন মনুষ্য মনুষ্যত্ব প্রাপ্ত হয় নাই ; তখন তাহার'বানরজাতীয় পুৰ্ব্বপুরুষে পশুত্বমাত্র বর্তমান ছিল। কালক্রমে প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন বিবিধ মানব ধৰ্ম্ম বিকশিত করিয় তাহাকে to 8
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।