পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- সৌন্দৰ্য-বুদ্ধি &>) যেখানে રહે হইবার কোন কারণ দেখি না, কবি ও ভাবুক সম্পূর্ণ অকারণে সেইখানে মুগ্ধ হইয় পড়েন। কবিকুল এইজন্ত বিজ্ঞসমাজে নিন্দিত । কালিদাস মারুতপূর্ণরন্ধ,কাচকধ্বনিতে অর্থাৎ বাশবনে বাতাসের ডাকে বনদেবতাগীতি শুনিতে পাইতেন ; ওয়ার্ডসোয়ার্থ কোকিলের ডাক শুনিয়া অশরীরী বাণীর সন্ধানে ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতেন ; এই শ্রেণীর অদ্ভুত সৌন্দৰ্য্যবোধ অপর সাধারণের হৃদগত হয় না। এবং এই সৌন্দর্য্যবোধে জীবনরক্ষায় কোন কাৰ্য্যকারিত আছে, তাহাও বোধ হয় কেহ সপ্রমাণ কুরিতে যাইবেন না। বরং ইহাতে জীবনের প্রতিকূলতা করে । যিনি এইরূপ সৌন্দর্যাপ্রিয়তা লইয়া সংসারে জন্মগ্রহণ করেন, তাহার সাংসারিক বিষয়বুদ্ধি সৰ্ব্বথ প্রশংসনীয় হয় না। চিত্রশিল্পী পটের উপর পাচরকমের বর্ণের বিন্যাস করিয়া অপরূপ সৌন্দর্য্যের স্বষ্টি করেন ; কলাবৎ নানা রকমের স্বর বিন্যাস দ্বারা বিবিধ ভাবের উদ্বোধন করিয়া সৌন্দর্য্যের স্বষ্টি করেন ; কারুশিল্পী প্রস্তরে পাঁচ রকম দাগ কাটিয়া সৌন্দৰ্য্যস্থষ্টির পরাকাষ্ঠী দেখান । এই সকল সুন্দর পদার্থের সৌন্দৰ্য্য কোথা হইতে কিরূপে কেন উৎপন্ন হইল, তাহ কেহ বুঝাইয়া দিতে পারে না । সকলের চোখ কোথায় সৌন্দৰ্য্য রহিয়াছে, তাহার আবিষ্কারেও সমর্থ হয় না ; অথচ যিনি ভাবগ্রাহী বা সমজদার, তিনি এই সৌন্দর্য্যের বিকাশ দেখিয়া পুলকিত ও মোহিত হইয় পড়েন । কেন তাহার এই মোহ, তাহ বুঝান যায় না । জীবনসংগ্রামে এই মোহ কোনরূপ আমুকুল্য করে, বলিতে গেলে বাতুলের প্রলাপ হইবে । কাজেই এই সৌন্দৰ্য্যবোধের উৎপত্তির প্রাকৃতিক হেতু নির্দেশ এক রকম অসম্ভব হইয় পড়ে। প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচুনরূপ মহামস্ত্রের অন্ততর ঋষি আলফ্রেড রসেল ওয়ালাশ এইজন্ত নিরাশ হইয়া বলিয়াছেন, মসুয্যের সৌন্দর্য্যবোধের উৎপত্তির ব্যাখ্যা প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে নাই। যৌন নিৰ্ব্বাচনেও