সৌন্দৰ্য্য-বুদ্ধি ২১৩ না করিয়া ধ্বং প্রতিকুলতাই করে ; ময়ূরকে তাহার শত্রুর নিকটে আত্মরক্ষায় একান্ত অসমর্থ করে । তবে প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনে যখন শারীরিক অভিব্যক্তি ঘটে, জীবনরক্ষার অনুকুল বিবিধ ধৰ্ম্ম তাহাতে বিকাশ পায়, তাহার সঙ্গে সঙ্গে এমনও দুই একটা ধৰ্ম্ম উৎপন্ন হয়, যাহার জীবনে কোন উপযোগিতা নাই ; এই সকল আগস্তুক বা আনুষঙ্গিক পরিবর্তন জীবন রক্ষার অনুকুল ন হইতেও পারে । পক্ষিজাতির অভিব্যক্তি সহকারে তাহার নানাবিধ পরিবৰ্ত্তন ঘটিয়াছে। অধিকাংশ পরিবর্তনই তাহার জীবন রক্ষার অনুকূল । কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে হয়ত কোন জৈবিক নিয়মবশে অঞ্চর পীচ রকম পরিবৰ্ত্তনও ঘটিয়া থাকিবে, যাহা জীবন রক্ষায় তেমন কাৰ্য্যকারী ন হইতেও পারে। ময়ূরীর যে সৌন্দৰ্য্যরোধের কথা বলা যাইতেছে, তাহ এইরূপ আগস্তুক আনুষঙ্গিক পরিবর্তনমাত্র । মমুষ্যের সৌন্দর্য্যবুদ্ধিটাও এইরূপ একটা আগন্তুক আনুষঙ্গিক লাভ মাত্র ; জীবনরক্ষার অনুকুল বিবিধ মানবধর্মের বিকাশের সহকারে দৈবক্রমে এই বুদ্ধিটারও স্বষ্টি হইয়াছে । ইহাতে তাহার অন্ত লাভ কিছুই নাই ; কেবল বিন কারণে খানিকটা আনন্দলাভের উপায় ঘটিয়াছে মাত্র । মুখাদ্য ভোজনে, সুপেয় পানে, মানুষের আনন্দ ঘটে ; তাহা বেশ বুঝা যায় ; কেন না এই আনন্দ জীবনের অনুকূল ; অতএব এই আনন্দামুভব শক্তি প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের ফল । কিন্তু মদ খাইয়৷ তাহার নেশাতেও মানুষের একরকম তীব্র আনন্দলাভ ঘটে ; এ আনন্দে মানুষের কোন লাভ নাই, বরং লোকসান আছে ; এই আনন্দলাভ-শক্তি জীবনরক্ষার প্রতিকুল ; এবং মনুষ্য পদে পদে এই অহিতকর প্রবৃত্তির জন্ত অনিষ্ট ভোগ করিতেছে। অথচ অর পাঁচটা হিতকর প্রবৃত্তির সহকারে এই সম্পূর্ণ অনিষ্টকর প্রবৃত্তিটাও মামুষের জন্মিয় গিয়াছে । তাহার উপায় নাই । মানুষের সৌন্দৰ্য্যা
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।