পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R A 8 জিজ্ঞাসা নুরাগও এইরূপ একটা নেশ ; ইহার কোন উপকারিত নাই ; তবে অন্ত নেশার মত জীবনের বিশেষ অপকার করে না ; বরং সময়ে সময়ে আনন্দ জন্মাইয়া উপকার করে । অন্তান্ত নেশার মত এ নেশাটাও দৈবক্রমে মানুষের মনুষ্যত্বলাভের আনুষঙ্গিক আগন্তুক ফলমাত্র। ইহার জন্ত মনুষ্য প্রকৃতির নিকট কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতে ইচ্ছা করে করুক । তাহাতে বিশেষ ‘আপত্তি নাই । কিন্তু সংসারের ভীষণ দ্বন্ধক্ষেত্রে যাহার ছেলেখেলায় সময় কাটাইবার অবসর নাই, যে বিজ্ঞ, বুদ্ধিমান ও বিষয়বুদ্ধিবিশিষ্ট, যাহার কোকিলের পিছু ছুটাছুটি করিয়া বেড়াই বার তাবকাশ নাই, এবং বিরহজরসস্তপ্ত হইয়। চন্দ্রকিরণকে গালি দিবার সময় নাই, সে প্রকৃতিদেবীর এই সম্পূর্ণ অনাবশুক বদান্ততার জন্ত কৃতজ্ঞতাপ্রকাশে একটু ইতস্তত: করিবে, তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? কুকুটের মাথায় শিখার মত, যেমন পুরুষ মামুষের মুখমণ্ডলে সম্পূর্ণ অনাবশ্বক দাড়ি গোপ গজাইয়াছে,— ডাকুইন হয়ত বলিবেন যাহার উদ্দেত নারীজাতির মনোরঞ্জন, তথাপি যাহার অনাবশুকতা প্রতিপাদনের জন্য নাপিতের ব্যবসায়ের স্বষ্টি হইয়াচ্ছে,—তদ্রুপ স্ত্রীপুরুষনিৰ্ব্বিশেষে সমগ্র মানবজাতির মধ্যেই এই অনর্থক সৌন্দর্য্য-নেশাটার উৎপত্তি হইয়াছে । তবু ভাল যে সংসারের সকলেই এই মদের মাতাল নহে ! সকলেই স শারের কাজ ছাড়িয়া জোনাকি, আর ফুল, আর ভ্রমর, জ্ঞ, a বিরহ লইয়া জীবন কাটায় না । ফলে ইউটিলিটি লইয়া যখন প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচনের কারবার, এবং ইউটিলিটির সহিত কবিত্বের যখন সনাতন বিরোধ, তখন প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন দ্বারা মনুষো কবিত্বের স্ফূৰ্ত্তি, বা সৌন্দৰ্য্যবোধের অভিব্যক্তির ব্যাখ্যার প্রয়াস পণ্ডশ্রম বলিয়াই মনে হইতে পারে । এই জন্তুষ্ট প্রাকৃতিক নিৰ্ব্বাচন ব্যতীত অন্ত কোন জৈবিক নিয়মে সৌন্দৰ্য্যবোধের