ミ>や জিজ্ঞাসা তিনি একজাতীয় ভূতের কল্পনা করিয়া গিয়াছেন ; সেই তই ব প্রসঙ্গের প্রতিপাদ্য । # * প্রদীপ জালিয়া আমরা রাত্রির অন্ধকার দূর করিয়া থাকি ; এবং তজ্জন্ত কাঠ, তেল, চর্বিব পোড়াইয়। আলো জালি । একালের লোকে গ্যাস পোড়ায়, অথবা কয়লা পোড়াইয়া বা দস্ত পোড়াইয়। বিজুলি বাতি জ্বালায় । মামুষে মনে করে, এ একটা প্রকাও বাহদুরি ; অগ্নির আবিষ্কারের মত এত প্রকাও আবিষ্কারই বুঝি আর কখনও হয় নাই । স্বৰ্য্যদেব সন্ধ্যার পর সরিয়া পড়িয়া আমাদিগকে আলোকে বঞ্চিত করেন ; কিন্তু আমরা কেমন সহজ উপায়ে ঘোর অন্ধকারেও আমাদের কাজ সারিয়া লই । মানুষকে ফাকি দেওয়া বড় সহজ কথা নহে, বিশেষতঃ এই উনবিংশ শতাব্দীর শেষে । আমরা অবলীলাক্রমে নিশ্চিন্তভাবে জাপানী দিয়াশলাই ঠুকিয় প্রদীপ জালি, এবং একটা উৎসবের উপলক্ষ পাইলে হাজার হাজার মশাল ও প্রদীপ জালিয়া ঘর ও নগর আলোকিত করিয়া কতই আনন্দে উৎফুল্ল হই। সাধারণ পাঠকবর্গ কিন্তু জানেন না, একালের জনকয়েক বৈজ্ঞানিকের নিকট এই দীপশিখার মত যন্ত্রণাদায়ক পদার্থ আর দ্বিতীয় নাই । কথাটা নিতান্ত হেঁয়ালি গোছের হইল, কিন্তু কথাটা প্রকৃত । বাস্তবিকই একালে যে ব্যক্তির মজ্জা বৈজ্ঞানিক ধাতুতে নিৰ্ম্মিত, যিনি খাটি বৈজ্ঞানিক, প্রদীপের আলোকে কখনই তাহাকে শাস্তি দিতে পারে না । প্রত্যেক দীপশিখা প্রতি মুহূৰ্ত্তে বৈজ্ঞানিককে স্মরণ করাইয়া দেয়, তুমি বড় নিৰ্ব্বোধ অথবা তোমার ভবিষ্যতের চিন্ত আদৌ নাই ; তোমার চোখের সম্মুখে এত বড় সৰ্ব্বনাশটা ঘটতেছে ; তাহার নিবা
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।