মাক্সওয়েলের ভূত ২২১ গরম, আর এই পৃথিবীটা তাহার তুলনায় কি ভয়ানক ঠাও। আর তাপ স্বভাবতই গরম স্বৰ্য্য হইতে ঠাণ্ড পৃথিবীতে আসিতেছে। কিন্তু পৃথিবী প্রতিদিন স্বৰ্য্য হইতে যে তাপ পায়, তাহার কতটুকু কাজে লাগে। কতকটা কাজে লাগে সন্দেহ নাই, কেননা সেই কতকটার জোরেই আমাদের অশ্বে ধাবতি, বায়ুবর্ণতি, জলং পততি, গেীঃ শব্দয়তে ; এমন কি এই জীবধাত্রী ধরিত্রীর প্রায় সকল কাৰ্য্যই তাঁহারই বলে নিৰ্ব্বাহিত হইতেছে ; কিন্তু বাকি যে তাপট কোন কাজেই লাগে ন, কেবল উষ্ণরশ্মিমণ্ডিত স্বৰ্য্য হইতে শীতলা বসুন্ধরায় যায়, ও শীতল। বস্কন্ধরা হইতে শীতলতর আকাশে ছড়াইয় পড়ে, কাহারও কোন কাজে লাগে না, কেবল অপচয়ে ও অপব্যয়ে যায়, তাহার তুলনায় উহার পরিমাণ কত সামান্ত । হা হতোহম্মি, যাহা যায় তাহ। আর আসে না । কত কবি ও কত দার্শনিক কালস্রোতের ও জীবনস্রোতের অপচয় দেখিয়া হা হতাশ করিয়া আসিতেছেন ; কিন্তু এই তাপস্রোতের ভীষণ অপচয় দেখিয়া এ পর্য্যন্ত কেহ এক ছত্র কবিতাও লিখিল না, কোন পণ্ডিতও একটা তত্ত্ব কথার উপদেশ দিল না । হায় ! এই সংসারের নিয়মই এই যে যাহা যায়, তাহ আর ফিরে না। তাপ যাগ গরম জিনিষ হইতে ঠাও জিনিষে যায়, তাহ আর ফিরে না । কেননা, তাপের স্বভাবই এষ্ট । জল যেমন স্বভাবত: নিম্নমুখ, তাপ তেমনি স্বভাবতঃ শৈতপ্রবণ,--ইহার স্বাভাবিক গতিই উষ্ণ স্থল হইতে শীতল স্থানে ; একবার শীতল পদার্থের ক্রোড়ে স্থান পাইলে আর উষ্ণ পদার্থে সহজে আসিতে চায় না। মানুষে চেষ্টা করিয়া আপনার শক্তি ব্যয় করিয়া জলকে উচ্চে ঠেলিয়া তোলে , সেইরূপ শক্তি दा করিয়া খানিকটা তাপকেও ঠাণ্ড হইতে গরমে তুলিতে পারে বটে ; কিন্তু এমনি প্রকৃতির বিধান, যে এক গুণ তাপকে
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।